যেখান থেকে তিনি জিতলেন সেখানেই ভাঙল ঘর। আসলে তাঁকে জিতিয়ে সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে না। দলের কর্মী–সমর্থকদেরও উপকার হচ্ছে না। তাই ভাঙল ঘর। হ্যাঁ, ঘর ভাঙল ভাইজানের দল আইএসএফের। আর তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান।
এমনকী দেখা গিয়েছে, করোনাভাইরাস বিধিকে তোয়াক্কা না করে যোগদান পর্ব চলছে। সংক্রমণ এড়াতে একাধিক বিধি জারি করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু দেখা গেল, করোনা আবহেই প্রায় ১০ হাজার আইএসএফ কর্মী–সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর এই যোগদান পর্বের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেই তোপ দেগেছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ডহারবার–যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর হাত ধরে প্রায় ১০ হাজার আইএসএফ কর্মী–সমর্থক যোগ দেন। ভাঙড়ের ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাইজার আহমেদ এই রাজনৈতিক কর্মী–সভার ব্যবস্থা করেন। সেখানে করোনা বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তুলছেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘করোনা বিধি কি কেবল বিরোধীদের জন্য? শাসক দলকে বুঝি বিধি পালন করতে হয় না! এই কারণে বিধানসভা নির্বাচনের মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মানুষ আমাকেই ভোট দেবে।’
এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘যাঁরা আমাদের দল ছেড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা আজ ফিরে এসেছেন। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তাই বাইরে কে কী বললেন তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কোনও ক্ষতি হবে না।’ কিন্তু এই তোপের পাল্টা জবাব দেওয়ায় ভাঙড়ে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।