ভাইজান আব্বাস সিদ্দিকির একটি ধর্মীয় সভা ঘিরে রণক্ষেত্রের আকার নিল ভাঙড়। রবিবার সভাটি হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই নাকি আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। আব্বাস অনুগামীদের বাড়িতে গিয়ে নাকি তাদের উপর নাকি হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। ঘটনায় বেশ কয়েকজন জখম হন বলে জানা গিয়েছে। জখম আইএসএফ কর্মীদের কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে যান ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে ভাঙড় থানার বড়ালী মালঞ্চ এলাকায় ১ নম্বর ব্লকে। পুলিশ এই সংঘর্ষের বিষয়ে অবশ্য এখনও পদক্ষেপ নেয়নি। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, কোনও পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। হামলায় জড়িত কাউকেই এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়। এদিকে হামলার জেরে গোটা এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
ভাঙড়ের বড়ালী পদ্মপুকুর এলাকায় পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির একটি ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, সেই সভা বানচাল করতেই এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাত্ক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ভাঙড় থানার পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়।
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এই সংঘর্ষের প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনের একটা অংশ সরকারের কথায় ওঠা বসা করে। এলাকা থেকে আইএসএফ মুছে ফেলতে চাইছে তারা। যখন দেখছে জোর করে ঝান্ডা ধরালেও কোনও লাভ হচ্ছে না, তখন এই সব করছে। নওশাদের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে এলাকার পুলিশ প্রশাসনের যোগ রয়েছে।