শাস্তি হয়নি, সমঝোতা হয়েছে। আরজি কর কাণ্ডে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠককে এই ভাষাতেই বর্ণনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রশ্ন তুললেন, অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্তা ও পুলিশ আধিকারিকদের বদলিতে কি তাদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হল? এভাবে তো তাদের পুরষ্কৃত করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন - জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরতেই বহিষ্কৃত নেতাকে মালা পরিয়ে উৎসবে মাতলেন TMC কর্মীরা
পড়তে থাকুন - ভারতে এসে ফেসবুকে ভারত ভাগের হুমকি, ঘাড় ধরে বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মোদী সরকার
এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ও রাতে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক দুটো যদি মেলান তাহলে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী এতটুকুও অনুতপ্ত নন। তিনি বলেছেন, আমি স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাকে সরিয়ে দিচ্ছি। যদিও তারা অল্প দিনের জন্য এখানে এসেছেন। মানে তারা দোষী নয়, মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁরা যে মর্যাদায় রয়েছেন তার সমান মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করব। আজকের অর্ডারেও তাই দেখা গিয়েছে। শাস্তি নয়, তারা প্রাইজ পোস্টিং পেয়েছেন। বড় জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে কাউকে পাঠাননি। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিনীত যেটা চেয়েছে সেটা দেব। এটা কি শাস্তি?’
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘আজ প্রধান বিচারপতি বলেছেন রিপোর্ট পড়ে আমরা স্তম্ভিত। রিপোর্টে কী আছে সবাই বুঝতে পারছে। এই রিপোর্ট যেদিন প্রকাশ্যে আসবে বিপর্যয় হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেদিন যেতে হবে।’
আরও পড়ুন - ‘হাততালি দিয়ে ডিস্কো ড্যান্স করে আন্দোলন হয় না’, কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের
সুপ্রিম কোর্টে লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর সওয়ালকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘আজ রাজ্যের আইনজীবী লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করতে গেছিলেন। কী ভয় আপনার? মা - বোনেরা দেখছে না? এখানে ব্যানার হাতে শাস্তি চাই বলে চ্যাঁচাচ্ছে আর সুপ্রিম কোর্টে ২১ জন আইনজীবী দাঁড় করিয়ে ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’