‘গোর্খাল্যান্ডকে’ সমর্থন না-করলে, পাহাড় জয় করা অত্যান্ত কঠিন। পাহাড়ের রাজনীতি প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক তথা ‘হামরো সিকিমের’ প্রধান বাইচুং ভুটিয়া। তিনি মনে করেন, পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবি, একটা বড় ইস্যু। যে দল পাহাড়বাসীদের গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করবে না, তাঁদের পক্ষে পাহাড়ের মন জয় করা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।
একইসঙ্গে বামনেতা অশোক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও আবেগপ্রবণ তিনি। চলতি বছরের নির্বাচনে বামেদের আসন শূন্য হয়েছে পাহাড় থেকেও। শিলিগুড়ির নির্বাচন কেন্দ্রে ধরাশায়ী হয়েছেন বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। তার সত্ত্বেও এই বর্ষিয়ান নেতার সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক আজও অটুট। দু’জনের মধ্যে একসময় রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ব্যক্তিগত স্তরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন কখনও ফিকে হয়নি। এমনকী, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়িতে অশোকবাবুর বিরুদ্ধে ভোটে লড়াও হয়ত সেই সময় ভুল ছিল বলে সম্প্রতি উপলব্ধি করেছেন বাইচুং ভুটিয়া।
এ প্রসঙ্গে বাইচুং জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূলের তরফে নিজে অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ভোটে লড়েছিলেন ঠিক কথা, তবে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ব্যক্তিগত স্তরের কোনও লড়াই ছিল না, সেই লড়াইটা ছিল শুধু রাজনৈতিক মতাদর্শের লড়াই। একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘যখন তিনি অশোকবাবুর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, সেই সময় তিনি রাজনীতিতে নবাগত ছিলেন।’ তাঁর আক্ষেপ, হয়ত অশোকবাবুর বিরুদ্ধে লড়াইটা সেই সময় ভুল ছিল।
অবশ্য তৃণমূল থেকে বহুদূর সরে গিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক। তৃণমূল শিবির থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতি করতে গেলে মানুষের সঙ্গে থাকা প্রয়োজন, সেজন্য সময় দেওয়া দরকার। সেই সময় তিনি দিতে পারছিলেন না বলেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে চলে গিয়েছেন।
অবশ্য পরে তৃণমূল থেকে বেরিয়ে তিনি নিজের একটি দল ‘হামরো সিকিম’ গঠন করেন। আপাতত সেই দল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইছেন তিনি।
সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের আগেও অশোক ভট্টাচার্যের সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন বাইচুং। অশোকবাবুর প্রশংসা করে তিনি জানিয়েছিলেন যে, অশোক ভট্টাচার্য অত্যান্ত ভাল মানুষ। তাছাড়া তিনি পাহাড়ের জন্য অনেক ভাল কাজ করেছেন।