স্কুলে হাতে গোনা শিক্ষক, তাই নগন্য ছাত্রসংখ্যাও। কিন্তু ছাত্র কেন নেই সেই প্রশ্ন তুলে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। ওদিকে স্কুলে প্রধান শিক্ষক আসেন না বলে বিধায়কের সামনে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষকরা। প্রধান শিক্ষকও যেমন তেমন লোক নন, শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেন বর্মন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে শিরোনামে ছিল কোচবিহারের শীতলকুচি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী তথা জাটিগাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরেন বর্মন। শুক্রবার দিদির দূত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে সেই স্কুলই পরিদর্শনে যান সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। আর তার পরই উঠে এসেছে স্কুলটির কঙ্কালসার ছবি।
স্কুলের শিক্ষকরা জগদীশবাবুর কাছে অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষক বিধায়ক হওয়ার পর থেকে আর স্কুলে আসেন না। কোনও খোঁজও নেন না। একথা শুনে প্রধান শিক্ষককে ফোন করেন জগদীশবাবু। শিক্ষকদের ক্ষোভের কথা প্রধান শিক্ষককে জানান তিনি।
এর পরই কথোপকথনে জানা যায়, স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর একাধিক পদ খালি। রাতারাতি বদলি করে দেওয়া হয়েছে একের পর এক শিক্ষককে। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলটিতে বর্তমানে শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন, পার্শ্ব শিক্ষকও রয়েছেন ৪ জন। ফোনে প্রধান শিক্ষকের মুখে এসব অভিযোগ ছিল না শাসক বিধায়কের কাছে। তিনি প্রধান শিক্ষককে বলেন, সে তো সব স্কুলেই এই অবস্থা। তুই এর রিকুইজিশন পাঠিয়েছিস? প্রধান শিক্ষক বলেন, সব নথি সঠিক জায়গায় পাঠানো হয়েছে। তার পর আরও বিপাকে পড়ে যান জগদীশবাবু। মুখ বাঁচাতে তিনি বলেন, আমাকে তার একটা কপি দিবি।
রাজ্যে শিক্ষক বদলি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালতও। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও শিক্ষককে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে বদলি করা যেতে পারে। যে সব স্কুলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি শিক্ষক রয়েছে সেখান থেকে যেখানে প্রয়োজন সেখানে বদলি করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।