এবার ভোটে জেতার পরেই মন্ত্রীত্বের দাবি করেছিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। এবার মন্ত্রীত্ব না পেয়ে কিছুটা অভিমানী রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। আসলে এবার তিনি যে জমিতে দাঁড়িয়ে লড়াইটা করছিলেন সেটা মোটেই তাঁর পক্ষে অনুকূল ছিল না। দলের মধ্য়ে থেকেই অনেকে তাঁর বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ছিলেন বলে অভিযোগ। এরপর যখন ফল বের হল তখন দেখা গেল জিতেছেন তিনি। এমনকী এবার বাংলায় বিজেপির যে কয়েকজন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন তার মধ্য়ে তাঁর ভোটের ব্যবধান সর্বাধিক। সব মিলিয়ে তাঁর ভোটের ব্যবধান ১৮৬৮৯৯। এরপরেও মন্ত্রী হওয়া হল না তাঁর।
এবার কেবলমাত্র বাংলা থেকে দুজন মন্ত্রী হয়েছেন। একজন হলেন সুকান্ত মজুমদার। আর অপরজন হলেন শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু জগন্নাথ সরকারের ভাগ্য়ে মন্ত্রিত্ব জুটল না। সাংসদ হয়েই থেকে যেতে হবে তাঁকে।
তবে বরাবরই দলের প্রতি আনুগত্য জগন্নাথ। কিন্তু এবার যেন মন্ত্রিত্ব না পেয়ে তিনি কিছুটা হলেও অভিমানী। তিনি জানিয়েছেন, 'দল যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয় তার পেছনে নিশ্চয় কোনও ভাবনা থাকে। নিশ্চয় ভালোর জন্যই সেই ভাবনা। সেই ভাবনা ভুল কি ঠিক, পরবর্তীকালে তা জানা যায়। তবে আপাতত যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা দলের ভালোর জন্যই আগেও বলেছি আমি দলের একজন সৈনিক মাত্র।' বলেছেন জগন্নাথ সরকার। খবর আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে।
তবে সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন এবারের লডা়ইটা ঠিক কতটা কঠিন ছিল। তিনি বলেন, 'দলের অনেকেই এবার বিরোধিতা করেছিলেন আমার টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে। দু একজন বাদে সকলেই প্রচার করেছিল আমি হেরে যাব বলে। কিন্তু মানুষ আমার সঙ্গে ছিলেন।তাই জয়লাভ করেছি। '
এদিকে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে এবার দলের রাজ্য সভাপতি পদে উপযুক্ত কাউকে ভাবছে দল। এমন কাউকে ভাবছে যিনি ২০২৬ সালের আগে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আর সেই তালিকায় জগন্নাথ সরকারের নাম নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে আদৌ রাজ্য সভাপতি করা হবে কি না তা নিয়েও নানা জল্পনা রয়েছে।
তবে জগন্নাথ সরকার এনিয়ে জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রী, সভাপতি কোনওটা না হলে আমি মরে যাব না। দরিদ্র কৃষক পরিবারের ছেলে আমি। অনেক পেয়েছি। পাওয়ার তো শেষ নেই। ’
এত সব কিছুর পরেও জগন্নাথের মনের মধ্যে কি অভিমানের চোরা স্রোত বইছে?