‘যে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, সেই রাজ্যের পুলিশের মনোবল ভেঙে দেওয়ার মতো কাজ করবেন না।’ এমনই ভাষায় বিএসএফ নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। পালটা জবাব দিলেন ধনখড়। দাবি করলেন, সুখেন্দুর মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে বিএসএফ নিয়ে মন্তব্য করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসন এবং পুলিশকে বার্তা দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মমতা বলেন, ‘তোমাদের (দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশকে উদ্দেশ্য করে) ওখানে একটা প্রবলেম আছে। বিএসএফ ঢুকে যায় গ্রামে-গ্রামে। গিয়ে সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করে বলে অনেক সময় অভিযোগ আসে। এমনকী ভোটের সময় ভোটের লাইনেও তাদের দেখা যায়। তোমরা কি কখনও বিএসএফের ডিজির সঙ্গে কথা বলেছ? এটা ডিজি-টু-ডিজি (রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং বিএসএফের ডিজি) কথা হবে। বিষয়টি বিএসএফের কাছে উত্থাপন করেছ?' তা নিয়ে আপত্তি জানান ধনখড়। বৃহস্পতিবার মমতাকে চিঠি লেখেন। কড়া ভাষায় লেখেন, মমতা যে মন্তব্য করেছেন, তাতে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ভুল বার্তা যেতে পারে।
রাজ্যপালের সেই চিঠির প্রেক্ষিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ লেখেন, ধনখড়ের 'উস্কানিমূলক' মন্তব্যের রাজ্যে পুলিশ বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা আছে। যে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, সেই রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে এরকম কাজ করবেন না। পালটা ধনখড় সুখেন্দুকে চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপাল পরামর্শের সুরে কটাক্ষ করেন, অন্যত্র কোনও সমস্যা হচ্ছে না। সমস্যাটা শুধু পশ্চিমবঙ্গে কেন হচ্ছে, তা ভেবে দেখার পরামর্শ দেন।