জলঙ্গীর সাহেবনগরে NRC বিরোধী ২ আন্দোলনকারীদের গুলিচালনার ঘটনায় কাঠগড়ায় তৃণমূল। স্থানীয়দের দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি চালিয়েছেন তৃণমূল নেতা তহিরুদ্দিন মণ্ডল ও তাঁর দলবল। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা তহিরুদ্দিন।
বুধবার বহুজন ক্রান্তি মোর্চার নেতৃত্বে CAA বনধ পালন করছিলেন স্থানীয় CAA বিরোধী নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। ২০ দিন আগে তৈরি হয়েছিল এই মঞ্চ। মূলত সিপিএম ও কংগ্রেস কর্মীরাই একজোট হয়ে এই মঞ্চ তৈরি করেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এদিন সকাল থেকে তারাই CAA বিরোধী বনধ সফল করতে সাহেবনগর বাজারে দোকানপাট বন্ধ করতে শুরু করেন। শুরু হয় পথ অবরোধ।
এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তৃণমূলের জলঙ্গি উত্তর ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডল। সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তিনি। সরস্বতী পুজোর দিন বনধে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়ে বিক্ষোভ থামাতে বলেন তিনি। বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে NRC হবে না। ফলে এই আন্দোলন অপ্রাসঙ্গিক। এরই মধ্যে দুপক্ষের বচসা বাঁধে। তখনই চলে গুলি।
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম আনারউল বিশ্বাস (৫৫) ও সালাউদ্দিন শেখ (১৭)। দুজনের CAA ও NRC-র বিরোধিতায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। আনারউল সাহেবের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। সালাউদ্দিনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
স্থানীয় বিধায়ক আবদুর রেজ্জাক জানিয়েছেন, ‘দিন ১৫ ধরে একটি নতুন সংগঠনের ছাতার তলায় সিপিএম ও কংগ্রেস আন্দোলন চালাচ্ছে। বুধবার বনধ সফল করতে সাহেবনগরে দোকান পাট বন্ধ করাচ্ছিল তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তহিরুদ্দিন মণ্ডল। তখন তাঁকে বোমা – বন্দুক নিয়ে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। এর পরই ২ জনের মৃত্যুর খবর পাই। তবে তাদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই।’
নিহত সালাউদ্দিনের বাবা নুর ইসলাম শেখ জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান মিল্টন শেখ আমার ছেলেকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। একটি বাড়ির ছাদ থেকে গুলি চালিয়েছে সে।’
ডোমকলের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সন্দীপ সেন জানিয়েছেন, ‘গুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে।’
়