জলঙ্গীতে CAA-বিরোধী আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালনার ঘটনায় শুরু হল শাসক – বিরোধী চাপানউতোর। ঘটনায় তৃণমূলের যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, অসাধু ব্যক্তিদের হাত রয়েছে এর পিছনে। পালটা দিলীপ ঘোষের দাবি, তৃণমূলের দলীয় শৃঙ্খলার কী পরিস্থিতি তা বোঝা যাচ্ছে। তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও।
পার্থবাবু বলেন, আমরাই তো CAA-র বিরোধিতায় আন্দোলন করছি। আমরা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে যাব কেন? কোনও অসাধু চক্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকে বানচাল করার চেষ্টা করছে। ঘটনার পিছনে তাদের হাত থাকতে পারে। যে কোনও উপায়ে তারা CAA বিরোধী আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তুলতে চাইছেন। অর্থাত্ পার্থবাবুর স্পষ্ট ইঙ্গিত বিজেপির দিকে।
পালটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল দলটা পুরোপুরি দুষ্কৃতীদের হাতে চলে গিয়েছে। তাই প্রকাশ্যে মানুষের ওপর গুলি চালাচ্ছে তৃণমূল নেতারা। ঘটনায় স্পষ্ট এ রাজ্যে মানুষের নিরাপত্তার কী অবস্থা। সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বললে হয় পুলিশ তুলে নিয়ে যাবে। নয় তৃণমূল গুলি করে মারবে।’
ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, গুলি – বন্দুক দিয়ে এলাকার দখল রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। কিন্তু মানুষ বেশিদিন এই অত্যাচার সহ্য করবে না।
বলে রাখি, বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গীর সাহেবনগরে CAA –র বিরোধিতায় পথ অবরোধ করছিলেন স্থানীয় একটি সংগঠনের সদস্যরা। তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। গুলি চালনায় অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানও। গুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩।