এর আগে মুর্শিদাবাদ থেকে একাধিকবার একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু, এবার শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিক নয়, সেইসঙ্গে গ্রেফতার করা হল এক ভারতীয়কেও। একইসঙ্গে উদ্ধার করা হল প্রচুর পরিমাণে বেআইনি মাদক দ্রব্য।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে আসা খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার অন্তর্গত দক্ষিণ ঘোষপাড়া এলাকায় একটি তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। তাদের লক্ষ্য ছিল, শফিকুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার বাড়ি। পুলিশের কাছে খবর ছিল, ওই বাড়িতে সন্দেহজনক কিছু কার্যকলাপ ঘটছে। তার ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়। আর তাতেই বড়সড় সাফল্য পায় জলঙ্গি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় সেখানেই দেলুয়ার হোসেন নামে এক যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই যুবক মোটেও ভারতীয় নন। তিনি বাংলাদেশি এবং খুব সম্ভবত অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকেছেন এবং থাকতে শুরু করেছেন।
এছাড়াও শফিকুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোট ২৫ কোজি ২২০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে জলঙ্গি থানার পুলিশ। এই দুই ঘটনার জেরে ওই বাড়ির মালিক শফিকুল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয়।
তবে, কী কারণে শফিকুল ওই বাংলাদেশি যুবককে তাঁর বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন, তাঁদের দু'জনের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া গাঁজার কী সম্পর্ক, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিতভাবে কিছুই জানা যায়নি। পুলিশের তরফে আজ (শনিবার - ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ধৃতদের বহরমপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, দুই অভিযুক্তকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায় পুলিশ।
পুলিশের মাথাব্যথার বড় কারণ হল - এই দুই ভারতীয় এবং বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক গাঁজা পাচার চক্রের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা, সেটা জানা দরকার। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে সেই বিষয়েই জেরা করতে চায় পুলিশ। যদি তাঁরা কোনও চোরাচালান চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে সেই চক্রের বাকিদেরও শনাক্ত করার ও পাকড়াও করার চেষ্টা করা হবে বলে দাবি সূত্রের।
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি সীমান্তে (ভারত-বাংলাদেশ) একসঙ্গে সাতজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রাথমিকভাবে আটক করে বিএসএফ। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সেই ঘটনায় জানা গিয়েছিল, ওই সাত বাংলাদেশি মাস সাতেক আগেও ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিলেন। এবং তাঁরা ভারতীয় পরিচয়পত্র - যেমন - আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ডের মতো নথিও বানিয়ে ফেলেছিলেন।