উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে বেড়ে চলেছে গণ্ডারের মৃত্যুর হার। গত তিন দিনে অভয়ারণ্যে মারা গিয়েছে দু’টি স্ত্রী গণ্ডার। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে মৃত পশুদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠাল বন দফতর।
রাজ্য বন দফতরের প্রধান রবি কান্ত সিনহা জানিয়েছেন, ‘এগুলি চোরাশিকারের ঘটনা নয়। কোনও অসুখের কবলে পড়েই দু’টি গণ্ডারের মৃত্যু হয়েছে। রোগের কারণ অনুসন্ধানে আমরা কমপক্ষে তিনটি সরকারি ল্যাবরেটরিতে নিহত গণ্ডারগুলির রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে।’
রাজ্যে গত কয়েক দশকে গণ্ডারের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ১৯৮৬ সালে বাংলার অভয়ারণ্যগুলিতে মাত্র ২২টি গণ্ডার ছিল। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৫টিতে। শুধুমাত্র জলদাপাড়া অভয়ারণ্যেই রয়েছে দুশোর বেশি গণ্ডার।
বন দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ‘মৃত গণ্ডারগুলির একটি অসুস্থ হওয়ার পরে অভয়ারণ্যের পশু চিকিত্সাকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিল। সমস্ত রকম চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত পশুটি মারা যায়। অন্য একটি গণ্ডারকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান টহলরত হনরক্ষীরা।’
গণ্ডার মৃত্যুর জেরে অভয়ারণ্যের দায়িত্বে থাকা বনরক্ষীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও পশুর দেহ পাওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে তাঁদের কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে।