আসল দোষীদের আড়াল করতে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিন মুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের এই কথা বললেন জলপাইগুড়িতে মায়ের মৃতদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যাওয়া যুবককে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার অঙ্কুর দাস। গত সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও মিথ্যা প্রচারের অভিযোগে গত বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষে রবিবার আদালতের নির্দেশে মুক্ত হন তিনি। অঙ্কুরবাবুর দৃপ্ত ঘোষণা, আর্তের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা থেকে সরাতে পারবে না চক্রান্তকারীরা।
জামিনে মুক্তি পেয়ে অঙ্কুরবাবু বলেন, ‘সেদিন লক্ষ্মীদেবী দেওয়ানের দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য যারা ৩০০০ টাকা ভাড়া চেয়েছিল তারা আজ ১৭ টাকা কিলোমিটার ভাড়ায় অ্যাম্বুল্যান্স চালাচ্ছে। তাহলে সেদিন তারা গেল না কেন? আসল অভিযুক্তদের আড়াল করতে আমাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।’
অঙ্কুরবাবুর স্ত্রী সুরভি দাস বলেন, ‘যে ভাবে সাধারণ মানুষ আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাতে আমরা আপ্লুত। এটা আমাদের লড়াইয়ে জয়ের প্রথম ধাপ।’
বিজেপি নেতা বাপি গোস্বামী বলেন, ‘তৃণমূলের মুখে ঝামা ঘষে জামিন দিয়েছে আদালত। এতে আশা করি এই স্বৈরাচারী সরকার শিক্ষা নেবে।’
গত ৫ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে মায়ের দেহ কাঁধে নিয়ে হাটতে দেখা যায় ছেলেকে। পথে সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, জলপাইগুড়ি থেকে মূর্তি দেহ যাওয়ার জন্য ৩০০০ টাকা দাবি করছে অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু অত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই। খবর পেয়ে যুবককে শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্ণধার অঙ্কুর দাস। দিন কয়েক পর তাঁর বিরুদ্ধেই সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অঙ্কুরবাবুকে। পুলিশের দাবি, গোটা ঘটনাটি পরিকল্পনা করে ঘটিয়েছেন অঙ্কুরবাবু।