বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > জলপাইগুড়িতে ধৃত শববহনকারীকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া NGO-র কর্তা

জলপাইগুড়িতে ধৃত শববহনকারীকে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেওয়া NGO-র কর্তা

জলপাইগুড়ির রাস্তায় মৃতদেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাবা ও ছেলে। 

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাসকে আটক করেন পুলিশকর্মীরা। কয়েকঘণ্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সংগঠনের তরফে অঙ্কুর দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।

জলপাইগুড়িতে শব কাঁধে করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছিল যে সংস্থা তার সম্পাদককে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক গোটা ঘটনার ছবি তুলে অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ও সরকারের মর্যাদাহানি করেছেন তিনি।

বুধবার সকালে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কুর দাসকে আটক করেন পুলিশকর্মীরা। কয়েকঘণ্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সংগঠনের তরফে অঙ্কুর দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে জানানো হয় পরিকল্পনামাফিক এই কাজ করেছেন তিনি।

অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সংগঠনের এক নেতা বলেন, উনি আগে থেকেই অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে হাজির ছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে মৃতদের অ্যাম্বুল্যান্সে তোলেননি। হাসপাতাল থেকে কয়েকশ মিটার দেহ ঘাড়ে করে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি অ্যাম্বুল্যান্সে দেহ তোলেন। আর গোটা রাস্তা তিনি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেছেন। পরে সেই ভিডিয়ো ভাইরাল করে দেন।

যদিও মৃতের স্বামী জয়কৃষ্ণ দেওয়ার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, কারও প্ররোচনায় স্ত্রীর দেহ কাঁধে নিইনি। তদন্ত হলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। প্রথম দিন থেকে আমি তৃণমূল কংগ্রেস করি। সরকারকে কেন কালিমালিপ্ত করতে যাব। তিনি আরও দাবি করেন, ওয়ার্ড মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, কোনও সরকারি পরিষেবা নেই। এর পর অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা আমার কাছে ৩০০০ টাকা দাবি করেন।

গত বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গড়েছে রাজ্য সরকার। তদন্তে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের গাফিলতি উঠে এসেছে। ওদিকে অসময়ে সাহায্যকারী গ্রেফতার হওয়ায় চোখে জয়কৃষ্ণবাবুর।

 

বন্ধ করুন