টানা বৃষ্টির জের। আর তার জেরে জলপাইগুড়িতে তিস্তা নদীর মূল বাঁধে ভয়াবহ ফাটল। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের কচুয়ার দক্ষিণ কান্দিপাড়া এলাকার ঘটনা। বাসিন্দাদের দাবি নজরদারির অভাবে বাঁধের রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল আগেই। এরপর প্রবল বৃষ্টিতে বাঁধের রেনকাট আরও গভীর হয়ে গিয়েছে। মূলত বৃষ্টির জলের প্রবল ধারা একইভাবে যখন বইতে থাকে তখনই বাঁধে রেনকাট তৈরি হয়। এই রেনকাট সময়মতো মেরামতি না করলে ভবিষ্যতে তা ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।
বাসিন্দাদের দাবি, সেচ দফতর একেবারে উদাসীন। বছরভর বাঁধে নজরদারি করলে বর্ষার মধ্যে এই পরিস্থিতি হত না। বাঁধ ভেঙে নদীর জল গ্রামে ঢুকে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সেচদফতরের লোকজন সময়মতো এলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। যেভাবে রেনকাট তৈরি হয়েছে তা আগামীদিনে আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুফল সরকার বলেন, আমাদের সঙ্গেও এনিয়ে সেচদফতর কোনও কথা বলে না। ওদের এব্যাপারে দেখা দরকার।
স্থানীয় অপর এক বাসিন্দা সমীর সরকার বলেন, আমরা সেচদফতরকে জানিয়েছি। কিন্তু ওরা কিছু করেই না। অপর বাসিন্দা আনন্দ সরকার বলেন, আমরা প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। বিশাল বড় রেনকাট। কোনও গাড়ি যেতে পারছে না। মূল বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। অর্ধেক বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এবার তো এখান দিয়ে নদী বেরিয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি এটার ব্যবস্থা করা দরকার।