জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনায় বর্তমান উপ পুরপ্রধান তৃণমূলের সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের মাথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে। তাঁর সঙ্গে কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগাযোগ ছিল। তাই তাঁকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ।
গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ায় নিজের বাড়িতে উদ্ধার হয় অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধবাবুর দেহ। পরিবারের অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর ধরে অপর্ণাদেবীকে নানা ভাবে চাপ দিচ্ছিলেন সৈকত। যার জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন দম্পতি। পুলিশকে এব্যাপারে অভিযোগ জানালেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না তারা। গ্রেফতারি তো দূরের কথা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিযুক্তরা।
রবিবার অপর্ণাদেবীর বাড়ি গিয়ে তাঁর মেয়ে তানিয়ার সঙ্গে কথা বলেন দিলীপবাবু। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন সুবোধবাবুর দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেও কথা বলেন দিলীপ ঘোষ।
এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু বলেন, ‘এই ঘটনা একটা চক্রান্ত। দু’বছর আগে থেকে তাদের ওপরে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। যারা দিচ্ছিল তারা খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি। এই ঘটনায় যারা মূল অভিযুক্ত এই পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের যুব নেতা তিনি এক নম্বর আসামী। সঙ্গে তাঁর চ্যালা-চামুন্ডারাও আছেন। তাই আজ পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি। আমাদের ধারণা পুলিশ পুরোপুরি তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সৈকতের বাড়িতে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। ওদের কাছে টাকা আর ক্ষমতা দুই আছে। তাই পুলিশ কিছু করতে পারছে না।’
নিহত দম্পতির মেয়ে বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অভিযুক্তরা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলাম। নিরাপত্তা তো পাইনি, উলটে কে একজন আমার বাড়ির সামনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। আমি অভিযুক্তের শাস্তি চাই।’
শিখাদেবী বলেন, ‘পুলিশকে বারবার জানানো সত্বেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা ন্যায়বিচারের দাবিতে যতদূর যেতে হয় যাব।’