মাল নদীতে হরপা বানের জেরে বিপর্যয় ঘটেছে। সেখানে ৮ জন মারা গিয়েছে। আর এই ঘটনায় বিরোধীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, মাল নদীর গতিপথ আটকানো হয়েছিল। যদিও আজ, শুক্রবার সেই অভিযোগ খারিজ করে দিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু। ফলে বিরোধীদের অভিযোগ ভোঁতা হয়ে গেল। আজই মালবাজারের ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধিদল। সেখানে এই মন্তব্য বিরোধীদের তোলা অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিল।
ঠিক কী বলেছেন জেলাশাসক? আজ, শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘কোনও বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছিল না। নদীর গতিপথ আটকানো হয়নি। শুধুমাত্র নাব্যতা বাড়ানোর জন্য চ্যানেল করা হয়েছিল। মাল নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। মাল নদীতে কোনও বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। যেহেতু ওই নদীতে জল কম থাকে তাই ভালভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন করার জন্য চ্যানেল কাটা হয়েছিল। তবুও যে সব অভিযোগ উঠছে তা খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে নদী বিশেষজ্ঞ–সহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হবে।’
ঠিক কী ঘটেছিল মাল নদীতে? বিজয়া দশমীর রাতে মাল নদীতে আচমকা হড়পা বানে ভেসে যান বিপুল পরিমাণ মানুষ। প্রায় ৩০ জন নিখোঁজ হয়ে যায়। রাত পেরিয়ে সকাল হলেও বহু মানুষের খোঁজ মেলেনি। আবার সেখানে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় উদ্ধারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। মোট আটজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে হড়পা বানে একসঙ্গে এতজনের তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। যদিও পরে সবাইকে উদ্ধার করা হয়।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনার সময় নদীর ধারে উপস্থিত ছিলেন সিভিল ডিফেন্সের মাত্র ৮ জন কর্মী। এই বিষয়ে এদিন জেলাশাসক জানান, সাধারণত ঘাটে ঘাটে সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের রাখা হয়। যাতে কেউ ডুবে গেলে বাঁচানো যায়। তাই আটজনকে রাখা হয়েছিল। হরপা বান আসবে সেটা আগে থেকে বোঝা যায় না। তাই হঠাৎ হড়পা বান আসায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।