আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সেই ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। এই অপরাধের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। এই আবহে এবার আবার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এক গৃহবধূকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক সিভিক ভলেন্টিয়ার দিনের পর দিন সহবাস করেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রতিশ্রুতি পালন না করার জেরে গৃহবধূ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তখন সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হুমকি দেয় সিভিক ভলান্টিয়ার বলে অভিযোগ। এমনকী গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ধর্মপুর এলাকাতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই গৃহবধূর সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার দু’বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেন। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম মিঠু অধিকারী। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পালন না করার জেরে সেটা ধর্ষণ বলে ধরে নেওয়া হয়। সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে গৃহবধূ গত ৮ সেপ্টেম্বর ময়নাগুড়ি থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। এমনকী নির্যাতিতা গৃহবধূর আরও অভিযোগ, পুলিশ এখনও গ্রেফতার করেনি অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে। তাই গত ১১ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপারের কাছে গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লাগাতার হুমকি মেলার জেরে আজ বুধবার আবার পুলিশ সুপারের দারস্থ হন ওই বধূ ও তাঁর স্বামী। পুলিশ সুপারের সঙ্গে তাঁদের বিস্তারিত কথা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘দু’বছরের মধ্যে হবে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান’, শিশু মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘোষণা করলেন মমতা
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠু অধিকারী প্রভাবশালী। শ্বশুর স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তাই এই সিভিক ভলান্টিয়ার গৃহবধূর পরিবারকে হুমকি দিয়েছে। আর এই অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার মিঠু অধিকারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে পুলিশ পায়নি। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত গ্রেফতার হবে সিভিক ভলান্টিয়ারকে। কিছুতেই ছাড় পাবে না অভিযুক্ত। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
আরজি কর হাসপাতালে ঘটা জঘন্য অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত সেই সিভিক ভলান্টিয়ার। এখানেও জড়িত সেই সিভিক ভলান্টিয়ার। যেখানে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ সমাজের অন্যায়–অপরাধ যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। সেখানে নিজেরাই অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। এই নিয়ে খারাপ বার্তা যাচ্ছে মানুষের কাছে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের নানা সুযোগ সুবিধা দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারপরও এমন অপরাধ ঘটানো নিঃসন্দেহে ঘৃণ্য।