এক যুবতীর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। আর সেই মামলার তদন্ত করতে ডেকে পাঠানো হয় ওই যুবতীকে। থানা ডেকে নিয়ে এসে তদন্ত করার অছিলায় ওই যুবতীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠল এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট ওই পুলিশ অফিসার ধর্ষণ করেছে যুবতীকে বলে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই অভিযোগ পুলিশের সামনে যুবতী নিয়ে আসতেই নড়েচড়ে বসল পুলিশ। তখন তড়িঘড়ি অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে ক্লোজ করা হল। জলপাইগুড়ির এই ঘটনা এখন প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
মানুষ বিপদে পরে সাহায্য চাইতে যায় পুলিশের কাছে। সেখানে পুলিশই যদি অত্যাচার করে তাহলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর। জলপাইগুড়ি থানায় কর্মরত। শুক্রবার রাতে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। শিলিগুড়ি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। সেখান থেকে জানা যায়, একটি মামলার তদন্তের অছিলায় ওই যুবতীকে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে ডেকে পাঠায় ওই অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টর। তারপর তাঁকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘দেশের প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে খুলবে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র’, বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
এই লাগাতার যৌন অত্যাচারের জেরে যুবতী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন তাঁকে ওই অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত সাব–ইনস্পেক্টর। একটু সুস্থবোধ করতেই নির্যাতিতা যুবতী শুক্রবার রাতেই শিলিগুড়ি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই পরিস্থিতি দেখে পুলিশ ওই যুবতীকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই হয় তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা এবং শুরু হয় চিকিৎসা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই সাব–ইনস্পেক্টরকে ক্লোজ করা হয়। যদিও অভিযুক্ত সাব ইন্সপেক্টরের কোনও বক্তব্য মেলেনি। তাঁর ফোন সুইচ অফ রয়েছে ক্লোজ হওয়ার পর থেকেই। এখন দেখার বিষয় শাস্তি কী হয়।
এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হতেই শিলিগুড়ি পুলিশের একটি তদন্তকারী দল রাজগঞ্জ থানায় আসে। তারপরই ওই সাব–ইনস্পেক্টরকে ক্লোজ করা হয়। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডবাহালে এই ঘটনা নিয়ে জানান, নির্যাতিতা যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে শিলিগুড়ি মহিলা থানা এফআইআর দায়ের করে মামলাটি জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় স্থানান্তরিত করেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত অফিসারকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। আর গোটা ঘটনা সত্য প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।