স্কুলছাত্রীকে প্রথমে ধর্ষণ করে টোটোচালক বলে অভিযোগ। ধর্ষণ করার পর ওই ছাত্রীর ব্যাগে ‘প্রেগন্যান্সি কিট’ ভরে ফেরত পাঠাল টোটোচালক বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জলপাইগুড়িতে। পরিবারের সদস্যরা সবটা জানতে পেরে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের উপর ভিত্তি করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও ওই টোটোচালক এখনও অধরা। পুলিশ এখনও তাকে ধরতে পারেনি। তবে তল্লাশি জারি রয়েছে। নিউটাউনে কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল এক টোটোচালক। তাকে আজ, রবিবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জলপাইগুড়িতে ওই স্কুলছাত্রীর ব্যাগে ‘প্রেগন্যান্সি কিট’ দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। ওই স্কুলছাত্রীকে তখন পরিবারের সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। আর তখনই নির্মম অত্যাচারের কথা সামনে চলে আসে। ওই স্কুলছাত্রীর কথা অনুযায়ী, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধর্ষণ করেছে এক টোটোচালক। পরিবারের সদস্যরা এই কথা শুনে শিউরে ওঠেন। আর তারপরই জলপাইগুড়ি সদর ব্লক এলাকার এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকা ছেড়ে গা–ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত টোটোচালক। অভিযুক্তর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নিউটাউন ধর্ষণ–খুন কাণ্ডের দু’দিন পর গ্রেফতার টোটোচালক, হাড়হিম করা তথ্য পেল পুলিশ
কেমন করে ঘটল এই ঘটনা? স্কুলছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই টোটোচালক তাদের এলাকারই বাসিন্দা। মাঝেমধ্যেই এই স্কুলছাত্রীকে স্কুলে নিয়ে যেত এবং বাড়ি নিয়ে আসত। সুতরাং একপ্রকার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় ছিল। শনিবার দিন ওই ছাত্রীর স্কুলের ব্যাগে ‘প্রেগন্যান্সি কিট’ দেখতে পান তাঁরা। তখন সন্দেহ হয়। জিজ্ঞসাবাদ করা শুরু করতেই মেয়ে কেঁদে ফেলে। আর তখনই সে জানায়, দু’সপ্তাহ আগে ওই টোটোচালক মেয়েকে তিস্তা বাঁধ এলাকায় পার্কে নিয়ে যায়। সেখানে চকোলেট খেতে দেয়। যেহেতু টোটোচালক পরিচিত তাই সন্দেহ হয়নি। চকোলেট খাওয়ার পরেই জ্ঞান হারায় সে। তখন টোটোচালক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
তারপর ঠিক কী ঘটল? পরিবারের সদস্যদের ওই স্কুলছাত্রী জানিয়েছে, এই ঘটনার কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে ওই টোটোচালক। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে কিনা সেটা জানার জন্য ‘প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট’ ব্যাগে ভরে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ওই অভিযুক্ত টোটোচালক। ওই কিট ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা দেখে ফেলেন। তখনই সামনে আসে গোটা ঘটনা। আর সব শুনে রাতে মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত পলাতক। ওই টোটোচালকের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে মহিলা থানার আইসি ডিকি লামা ভুটিয়া জানিয়েছেন।