আবার প্রকাশ্যে এল মর্টার শেল। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ওদলাবাড়ি সংলগ্ন ঘিস নদীর চরে এই জোড়া মর্টার শেল মিলেছে। যাকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কেমন করে এখানে এল মর্টার শেল? কারা রেখে গিয়েছে? এই প্রশ্ন উঠলেও আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত জোড়া মর্টার শেল মিলেছে নদীর চরে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল ঘিস নদীর চরে বালুপাথর উত্তোলনের কাজ চলছিল। তখন শ্রমিকরা নদীর চরে পাথরের সঙ্গে দুটি মর্টার শেল পড়ে থাকতে দেখতে পান। আর তা দেখে সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকরা ওই এলাকা থেকে দূরে সরে যান। আর অন্যান্যদের খবর দেন। সেখান থেকে খবর যায় পুলিশে। স্থানীয় গ্রামবাসীরাই মাল থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন। আতঙ্কে গ্রামবাসীরা বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করে দেন। অনেকেই বিস্ফোরণের আতঙ্কে ভুগছিলেন। পুলিশ ওই মর্টার শেলগুলি উদ্ধার করে নিয়ে গেলে আতঙ্ক কিছুটা কমে।
আরও পড়ুন: হাওড়া ডিভিশনে নিত্যযাত্রীদের সুবিধায় রেলকে বড় প্রস্তাব সাংসদ রচনার, অগ্রাধিকার মহিলাদের
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মর্টার শেল দুটি যেখানে মিলেছে, সেই স্থানটি ঘিরে রাখা আছে। এখানে যাতে কেউ আসতে না পারে তার জন্যই এমন ব্যবস্থা করা হয়। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের খবর দেওয়া হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার জওয়ানরা এসে মর্টার শেল দুটিকে নিস্ক্রিয় করবেন। তারপর তা উদ্ধার করে নিয়ে যাবেন। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গেও কথা বলা হবে। তারপর উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।
স্থানীয় এক শ্রমিক এই ঘটনাটি দেখেছেন। তিনি জানান, ওদলাবাড়ি এলাকার ঘিস নদীর চরে এই নিয়ে চলতি বছরে প্রায় পাঁচবার মর্টার শেল পাওয়া গেল। এর আগে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসেও মর্টার শেল উদ্ধার হয়েছিল এই নদীর পার থেকে। তার আগে পাওয়া মর্টার শেলগুলি সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে নিস্ক্রিয় করেছে। প্রত্যেকটি মর্টার শেলই বহুদিনের পুরনো পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে। কোনও কারণে দীর্ঘদিন জলে এবং খোলা জায়গায় পড়ে থাকার জেরে সেগুলিতে মরচে ধরে গিয়েছে। তবে কেমন করে শুধুমাত্র ঘিস নদীতেই মিলছে এতো বিস্ফোরক? এমন প্রশ্ন এবার উঠতে শুরু করেছে।