প্রায় মানুষের সুবিধার জন্য কমিউনিটি টয়লেট বানিয়েছিল জলপাইগুড়ি পুরসভা। কিন্তু, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে টয়লেটগুলির বেহালদশা। যা ব্যবহারের অযোগ্য। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুরসভাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। আর তারপরে টয়লেট পরিদর্শনে ছুটলেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। জলপাইগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল এভাবেই তৎপরতার সঙ্গে ওই কমিউনিটি টয়লেট পরিদর্শন করলেন ইঞ্জিনিয়াররা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে এই কমিউনিটি টয়লেট রয়েছে। ওয়ার্ডের জয়ন্তী পাড়া এলাকায় হঠাৎ বস্তি, হরিজন বস্তি এবং জয়ন্তী বস্তি মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার মানুষের শৌচ কর্মের জন্য ভরসা এই কমিউনিটি টয়লেট। কিন্তু, গত কয়েক বছর ধরে টয়লেটের বেহাল দশা। তিনটি শৌচাগারের মধ্যে কোনওটিতে দরজা ভাঙা, আবার কোনওটিতে দরজা নেই বললেই চলে। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসীরা, বিশেষ করে মহিলারা। এলাকার মহিলারা শৌচকর্ম করতে গেলে অন্য একজন মহিলাকে পাহারা দেওয়ার জন্য রেখে দেন। এর প্রতিকার চেয়ে স্থানীয়রা কাউন্সিলর মণীন্দ্রনাথ বর্মনের কাছে দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর তিনি সমস্যা সমাধানের জন্য জলপাইগুড়ি পুরসভা, জেলাশাসক এবং নবান্নের কাছে চিঠি পাঠান।
তার ভিত্তিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জলপাইগুড়ি পুরসভার কাছে নবান্নের পক্ষ থেকে ই মেইল পৌঁছয়। এরপরেই নড়েচড়ে বসে জলপাইগুড়ি পুরসভা। নবান্নের নির্দেশ পাওয়ার পরেই শৌচালয় পরিদর্শন করেন পুর ইঞ্জিনিয়াররা। কাউন্সিলর মনীন্দ্রনাথ বর্মন এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নবান্নের নির্দেশ পাওয়ার পরেই টয়লেটগুলি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।