দিন কয়েক আগেই জামতাড়া গ্যাংয়ের অন্যতম মাথাকে গ্রেফতার করেছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। কিন্তু এই চক্র যে এখনও সক্রিয় তা আরও একবার সামনে এল। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে শ্রীরামপুরের এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির অ্য়াকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে গেল ১০ লক্ষ টাকা। হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের এই ঘটনায় পরিবারটির মাথায় কার্যত আকাশ ভেঙে পড়েছে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম বিভাগে অভিযোগ জানিয়েছে ওই পরিবার। তাঁদের আশা এর আগেও চন্দননগরের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে টাকা উদ্ধার করতে পেরেছে। এত নিরাশার মাঝেও সেই পুলিশের উপরই ভরসা রাখছে ওই পরিবার।
কার্যত অবসরের সময় প্রাপ্ত প্রায় সমস্ত টাকাই খোয়া গিয়েছে তাঁর। স্থানীয় সূত্রে খবর, চাতরার বাসিন্দা অসীমকুমার নন্দন একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। বছরখানেক আগে অবসরের সময় তিনি কিছু টাকা পেয়েছিলেন। সেই সঞ্চয়ের টাকা তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শ্রীরামপুর শাখার সেভিংস অ্য়াকাউন্টে জমা রেখেছিলেন। পাশাপাশি চাকরি সূত্রে অপর একটি ব্যাংকেও তাঁর অ্য়াকাউন্ট রয়েছে।
ঠিক কী ভাবে প্রতারণার জাল ফেলেছিল প্রতারকরা। পরিবার সূত্রে খবর গত ২৮শে জুলাই তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। সেই ফোনের ওপারে এক অপরিচিত কণ্ঠস্বর। এরপর সেই চিরাচরিত স্টাইলে ব্যাংকের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তাঁকে জানানো হয়, তাঁর অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালান্স কমে গিয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার ব্যাপারে তাকে ফোন করে জানানো হয়। যদি সেখানে টাকা জমা না রাখা হয় তবে নমিনি ব্যাঙ্কের পাশ বইয়ের অ্য়াকাউন্ট তাঁর কাছ থেকে চাওয়া হয়। এরপর সরল বিশ্বাসে দুটি অ্য়াকাউন্ট নম্বরই তিনি জানিয়ে দেন। এরপর তাঁর ফোনে একটি ওটিপি আসে। সেই ওটিপিও তিনি জানিয়ে দেন ফোনে। আর তাতেই কেল্লা ফতে। এরপর তিনি টের পান রাত ২টোর মধ্যে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে অন্তত ১০ লক্ষ টাকা হাওয়া করে দিয়েছে প্রতারকরা।