এসএসসি দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতার হওয়ার পরে সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য করে তৃণমূলকে অস্বস্তি দিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন দলের সাংসদ জহর সরকার। তৃণমূল ছাড়ার সম্ভাবনার কথাও তিনি প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তৃণমূলের সঙ্গে যে তিনি দূরত্ব বাড়াননি টুইট করে তা বুঝিয়ে দিলেন। তৃণমূলের নতুন স্লোগান, ‘ভারতের সবচেয়ে বড় পাপ্পু অমিত শাহ’ লিখে নিজের টুইটার পেজে টুইট করলেন তৃণমূল সাংসদ। শুধু টুইটই করেননি, তৃণমূলের টুইটার পেজ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের টুইটার পেজও ট্যাগ করলেন তিনি।
দলের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য করার পরে শনিবার তাকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দিয়েছিল তৃণমূল। এনিয়ে শুরু হয়েছিল বিস্তর জলঘোলা। যদিও তৃণমূলের তরফে জানানো হয় অনেক সাংসদেরই একাধিক নম্বর ওই গ্রুপে রয়েছে। তাই নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করে শুধুমাত্র সাংসদদের একটি নম্বরই রাখা হবে। তার ঠিক পরেই গতকাল অমিত শাহের বিরুদ্ধে টুইট করে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন জহর সরকার।
উল্লেখ্য, জহর সরকার তৃণমূল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি প্রতিদিনই ভাবি তৃণমূল ছেড়ে দেব। তবে মর্যাদাহানী হলে সত্যি সত্যিই আমি তৃণমূল ছেড়ে দেব।’ এরপরে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় থেকে শুরু করে বাবু সুপ্রিয়, তাপস রায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়েছিলেন জহর সরকার। সৌগত রায় তার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, দলের শাস্তির মুখে পড়ার আশঙ্কায় জহর সরকার এই ধরনের টুইট করেছেন। তিনি যে দলের সঙ্গে রয়েছেন তা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন।