বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আগামী বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই দাবিকে আরও জোরদার করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দলের নেতৃত্ব এই দাবিতে আরও বেশি করে সুর চড়াচ্ছেন। সেই আবহে কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এবার বিজেপি নেতাদের ঝাঁটা মারার নিদান দিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। একইসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ‘গদ্দার অধিকারী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে পুরনো কর্মীদের সম্মান নেই, দলবদলু জয়প্রকাশকে ঘিরে বিক্ষোভ দলের কর্মীদের
প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রকল্পে কয়েক হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের। এরমধ্যে আবার স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও কয়েকশো কোটি টাকা বকেয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন। এই সমস্ত বকেয়া আদায়ের দাবিতে গত কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার চন্দ্রকোনা বিধানসভা এলাকার শ্রীনগরে তৃণমূলের তরফে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দেন জয়প্রকাশ মজুমদার। ওই সভা থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তিনি সুর চড়ান। সেখানে তিনি বলেন, ‘বিজেপি নেতারা ভোট চাইতে এলে আগে বলবেন আগে টাকা দিন না হলে ঝাঁটা মারবো। কে বিজেপি?’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপিকে এ রাজ্য থেকে তাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। মায়েরা ঝাঁটা মেরে তাদের বিদায় করবে।’ এ নিয়ে পালটা তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন চন্দ্রকোনার বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, মানুষ বিজেপিকে নয়, তৃণমূলকেই ঝাঁটা মারবে।
প্রসঙ্গত, একাধিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আগেই দিল্লি অভিযান করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ১৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য সামনে যেহেতু লোকসভা ভোট রয়েছে তাই কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে অস্ত্র করে এগোতে চাইছে শাসক দল। অন্যদিকে, চন্দ্রকোনায় এদিন সভায় পরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন জয়প্রকাশ। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘চন্দ্রকোনায় বাংলার বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিশাল সমাবেশ হয়েছে। কয়েকদিন আগেই এই মাঠেই গদ্দার অধিকারীর মিটিংয়ে অনেক চেষ্টায় হাজার-বারোশো লোক জোগাড় হয়েছিল। আর আজ ১২ হাজার লোক ভেতরে এবং বাইরে আরও কয়েক হাজার।’