পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভায় হালকা মেজাজে সুরেশ আগরওয়ালের ভারী শরীর নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বড় ভুঁড়ি দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘এত বড় মধ্যপ্রদেশ নিয়ে কাজ করেন কী করে? ব্যায়াম করেন নিয়মিত?’ এমনকী আঁতকে উঠে বলেছিলেন, ‘এত বড় মধ্যপ্রদেশ!’ এবার ঝালদা পুরসভার সেই পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অনাস্থা প্রস্তাব। আর তা নিয়ে এখন শোরগোল রাজ্য–রাজনীতিতে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা পুরসভায় এবার অনাস্থা প্রস্তাব আনল কংগ্রেস। অনাস্থা চেয়ে জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস কাউন্সিলররা। অনাস্থা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের পাঁচ কাউন্সিলর ও এক নির্দল কাউন্সিলর। ঝালদা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টি তৃণমূল, ৫টি কংগ্রেস, ২টি নির্দল। এক নির্দল কাউন্সিলর সমর্থন করেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। অপর নির্দল কাউন্সিলর অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে। যদিও তিনি কোনও চিঠি পাননি বলেই জানিয়েছেন সুরেশ।
কেমন বিন্যাস এই পুরসভার? ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি আসন। এই পুরসভা নির্বাচনে ৫টি আসন জেতে তৃণমূল কংগ্রেস, ৫টি কংগ্রেস এবং ২টি আসনে জয়লাভ করেন নির্দল প্রার্থীরা। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরেই ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এখানের চেয়ারম্যান হন সুরেশ আগরওয়াল।
উল্লেখ্য, এখানের বোর্ড গঠন হওয়ার আগেই খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। যা রাজ্য–রাজনীতিতে ঝড় তুলে দেয়। পরে উপনির্বাচন হয় সেখানে। আর কংগ্রেসই জেতে ওই ওয়ার্ডে। কিন্তু এবার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। এই বিষয়ে ঝালদার মহকুমাশাসক ঋতম ঝাঁ বলেন, ‘অনাস্থার আবেদনের একটি কপি পেয়েছি আমি।’ আর পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, ‘আমি কোনও অনাস্থার চিঠি পাইনি।’