আদালতের নির্দেশে ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন কংগ্রেসি কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। শনিবার সকালে পুরভবনে গিয়ে পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেন তিনি। শুক্রবার ঝালদার প্রাক্তন পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের বিরোধিতায় দায়ের মামলায় পূর্ণিমা কান্দুকে ওই পদে বসানোর নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচাকপতি অমৃতা সিনহা। আপাতত আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই পদে থাকবেন তিনি।
এদিন পুরপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে পূর্ণিমাদেবী বলেন, ‘ঝালদার মানুষের সমর্থন ও আস্থা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তার পরেও শাসকদল নানা ভাবে কংগ্রেসের বোর্ড ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি চেষ্টার বিরোধিতায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছে। আদালতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি অল্প সময় চেয়ারম্যান পদে বসেছি। মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
গত ১৫ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান নির্বাচন হয়। পুরপ্রধান নির্বাচিত হন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পুরপ্রধানের দায়িত্ব নেন তিনি। তার পরদিনই দলবদল আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে শীলাদেবীর কাউন্সিলর পদ খারিজ করেন মহকুমাশাসক। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে ঝালদার পুরপ্রধানের পদে বসানো হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্যায় ও কংগ্রেস। বিচারপতি অমৃতা সিনহা শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ জারি করেন। সঙ্গে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উপ পুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দুকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। এদিন পূর্ণিমাদেবী যখন দায়িত্ব নেন তখন তাঁর পাশেই ছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup