বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের হাতছাড়া ঝালদা পুরসভা

পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের হাতছাড়া ঝালদা পুরসভা

সোমবার ঝালদায় কংগ্রেসের বিজয়মিছিল।

প্রয়াত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বিশাল ছবি নিয়ে মিছিল করেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘ওরাই আদালতের কাছে সময় চায়। এখন ওদেরই দেখা মিলছে না।

ঝালদায় পতন হল তৃণমূলি পুরবোর্ডে। সোমবার আদালতের নির্দেশে আয়োজিত তলবি সভায় পরাজয় নিশ্চিত জেনে এলেনই না তৃণমূলের কাউন্সিলররা। এর পর কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের ভোটের ভিত্তিতে ৭ – ০ ভোটে পরাজয় হয় তৃণমূলি পুরবোর্ডের। এর পর শহরে মিছিল বার করেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। ঝালদায় দলীয় নেতাকর্মীদের লড়াই উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।

সোমবার পুরসভার আস্থাভোটকে ঘিরে ঝালদা শহরের নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। মোড়ে মোড়ে মোতায়েন ছিল পুলিশ। গোটা শহরে জারি ছিল ১৪৪ ধারা। সাধারণ মানুষকে পুরসভার ধারে কাছে ঘেঁষতে দেয়নি তারা। বেলা ১২টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল আস্থা ভোট। তার আগেই সেখানে হাজির হন কংগ্রেসের ৫ ও ২ নির্দল কাউন্সিলর। কিন্তু বেলা ১২.৩০ মিনিট বাজলেও তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলর হাজির হননি। এর পর ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণকারী ৭ জনই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। যার ফলে পতন হয় তৃণমূল পুরবোর্ডের। ঝালদা পুরসভায় মোট ১২ জন কাউন্সিলর। সংখ্যাগরিষ্ঠার জন্য সেখানে প্রয়োজন হয় ৭ জন কাউন্সিলরের সমর্থনের।

এর পর প্রয়াত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বিশাল ছবি নিয়ে মিছিল করেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতো বলেন, ‘ওরাই আদালতের কাছে সময় চায়। এখন ওদেরই দেখা মিলছে না। তবে পুলিশ এদিন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে।’

তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ‘ওরা জোর করে আমাদের পুরসভা ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজ আমার স্বামীর আত্মা শান্তি পেল।’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২ জেলায় পর পর ২টি পুরসভা হাতছাড়া হওয়ায় তৃণমূলের ওপরে চাপ আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।

 

বন্ধ করুন