ঝাড়গ্রামকে বলা হয় অরণ্য সুন্দরী। ঝাড়গ্রামের নদী, পাহাড় থেকে শুরু করে অরণ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবাইকে আকর্ষণ করে। তবে ঝাড়গ্রামে ঘুরতে গেলে শোনা যায় লোকসংগীত। তাই এবার দুর্গাপুজোয় পর্যটকদের এখানে টানতে থিম সং প্রকাশ করল ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম। ‘মাদল বাজে’ থিম সংয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করল ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম। রবিবার ঝাড়গ্রাম পর্যটন অফিস থেকে এই থিম সংয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করা হয়। আসলে ঝাড়গ্রামকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতেই এমন উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই থিম সং শোনা যাবে।
এদিকে ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজমের প্রযোজনায় ৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের এই থিম সং। দ্বৈত কন্ঠে গেয়েছেন শিল্পী অভিজিৎ চক্রবর্তী এবং দিলাসা চৌধুরী। এই গানে রয়েছে আহ্বানের কথা। যাতে পর্যটকরা আরও বেশি করে আসে তাই এই থিম সং তৈরি করা হয়েছে। গানের কথায়—জামবনীর ডুলুং নদীর তীরে অবস্থিত কনকদুর্গা মন্দিরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে কংসাবতী বর্ণনা করা হয়েছে। বেলপাহাড়ীর পথে পথে শাল মহুলে ঘেরা সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে। এই থিম সং ঝুমুরের আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে। বাঁশি ও মাদল ব্যবহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে দুর্গাপুজোয় বহু পর্যটক একটু নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান। তাই অন্যত্র যান তাঁরা। তবে সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চান। ভিড় এড়াতে অনেকেই ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া বা বাঁকুড়ায় পাড়ি দেন। তাই গানের কথায় বলা হয়েছে, ‘ডুলুংয়ের উপ কথায় পেয়েছি যার নাম/ অরণ্য সুন্দরী তুমি আমার ঝাড়গ্রাম।’ এভাবেই পর্যটকদের কাছে টানতে চাওয়া হয়েছে। এখন এখানে আগের থেকে পর্যটক অনেক বেশি আসে। তাছাড়া ঝাড়গ্রামে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে তা অনেকের অজানা। সব মিলিয়ে দুর্গাপুজোর সময় পর্যটনস্থল হতেই পারে ঝাড়গ্রাম।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় ফিল্মি কায়দায় ছাত্র অপহরণের অভিযোগ, কেমন করে উদ্ধার করল পুলিশ?
আর কী জানা যাচ্ছে? ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম সূত্রে খবর,এই থিম সং ঝাড়গ্রামের লোকসংগীত ঝুমুরের ধাঁচে তৈরি করা হয়েছে। তাই নাম রাখা হয়েছে ‘মাদল বাজে’। আসলে এই সুর মর্ছনা পর্যটকরা পছন্দ করেন। তাই এই পছন্দকে সামনে রেখেই তৈরি হয়েছে থিম সং। ঝাড়গ্রাম রাজ্যের পর্যটনের মানচিত্রে এখন একটা নাম। শুধু তাই নয়, দেশ–বিদেশের পর্যটকরা এখানে আসতে শুরু করেছেন। আবার বাঙালি পুজোর সময় এখানে এসে সময় কাটাচ্ছেন। ঝাড়গ্রামের এই পর্যটনের কথা গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।