বড়বাজারে আদিবাসীদের জন্য শাড়ি কিনতে এসেছিলেন ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়ক। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর এমনটাই জানালেন তাঁরা। এদিকে বিধায়কদের আইনজীবীদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের মক্কেলের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। এদিকে বিধায়করা শাড়ি কিনতে আসার কথা দাবি করলেও এত নগদ তাঁদের গাড়িতে কী করছিল এর সদুত্তর মেলেনি। কারণ গাড়ি যখন আটক হয়েছিল তখন সেটি কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। এদিকে গাড়ি থেকে কোনও শাড়ি উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির তদন্তকারীরাও জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হল, হাওড়ার ঘটনা প্রমাণ করছে যে বিজেপি অপারেশন লোটাসের মাধ্যমে তাদের দলের বিধায়ক ভাঙিয়ে ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলতে চাইছে। জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে হাওড়ার পাঁচলার রানিহাটি মোড়ে ছয় নম্বর জাতীয় সড়কে ঝাড়খণ্ডগামী একটি কালো রঙের টয়োটা গাড়ি আটকায় পুলিশ। কলকাতা থেকে গাড়িটি আসছিল। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বান্ডিল-বান্ডিল নোট উদ্ধার করা হয়। গাড়ির পিছনের দিকে প্রচুর ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডগামী একটি গাড়িতে যে প্রচুর টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে আগেই খবর মিলেছিল। সেইমতো হাওড়া সিটি পুলিশ এবং হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিকরা তল্লাশি চালাতে থাকেন। বিকেলের দিকে রানিহাটি মোড়ে ওই গাড়িটি ঘিরে ধরা হয়। গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয় বলে জানায় পুলিশ। গাড়িতে ছিলেন জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি, খিজরির বিধায়ক রাজেশ কচ্ছপ এবং কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল। তিন বিধায়কই কংগ্রেসের। তিন কংগ্রেস বিধায়ককে আটক করা হয়। এরপর রাতভর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।