ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞতা পরিচয় এক যুবকের মুণ্ডু পড়ে রইল বাংলায় এবং দেহ পড়ে রইল ঝাড়খণ্ডে। মৃতদেহের দায়িত্ব কে নেবে? তা নিয়ে রেল পুলিশের মধ্যে চলল দীর্ঘ টানাপোড়েন। একদিকে, ঝড়খণ্ড রেল পুলিশ আর অন্যদিকে বাংলার রেল পুলিশ। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে টানাপোড়েন চলার পর অবশেষে ঝাড়খণ্ড রেল পুলিশ ওই মৃতদেহ নিয়ে যায়।
চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আহত গুগলে ২ কোটি বেতনের চাকরি পাওয়া যুবক
রেল সূত্রের খবর, আজ সোমবার পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি ও ঝাড়খণ্ডের সীমানা এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবক। এরপর তাঁর মাথাটি বাংলা সীমান্তে পড়ে থাকলেও দেহটি ট্রেনের চাকায় আটকে পৌঁছে গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে। এই পরিস্থিতিতে সীমানা মাপার জন্য ফিতে নিয়ে আসে রেল পুলিশ। সীমানা মাপার পর ওই যুবকের দেহ ও মাথা নিয়ে চলে যায় ঝাড়খণ্ডের রেল পুলিশ। পুরুলিয়ার সুইসা স্টেশন এবং ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি স্টেশনের মাঝে সকাল নটা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। যার ফলে সমস্যা তৈরি হয়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রেল পুলিশ এবং সুইসা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের তিরুলডি থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। পুরুলিয়া জেলা পুলিশ এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, সীমানা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাই একটু সমস্যা হয়েছে। তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।