সোমবার সকালে পুরমন্ত্রীকে লেখা তাঁর চিঠি ফাঁস হওয়ার পর থেকে দিনভর জল গড়িয়েছে অনেক দূর। কার্যত ফিরহাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মমতায় আস্থা রেখেছেন তিনি। সঙ্গে দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে কলকাতা ও বিধাননগরের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে। আর বেলা গড়াতে গড়াতে এই বিতর্কে একেরবারে ইস্তফার হুমকি দিয়ে বসলেন আসানসোলের মুখ্য পুরপ্রশাসক তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
সোমবার বিকেলে আসানসোলে এক সভায় যোগ দিয়ে ফের নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলেন, ‘কলকাতায় বসে কেউ ভাববেন তোমাকে চেয়ার দিয়েছি তুমি চেয়ারে বসো। তোমাকে গাড়ি দিয়েছি, নিরাপত্তা দিয়েছি আরও সুযোগ সুবিধা দিয়েছি কিন্তু আসানসোলের কথা তুমি বলতে পারবে না। কলকাতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না। তাহলে আমি বলব, এরকম চেয়ার, গাড়ি, সিকিউরিটি কিছু দরকার নেই। এখানকার মাটির মানুষ যা চাইবে, সেটাই করব।’
সোমবার সকালে প্রকাশ্যে আসে জিতেন্দ্র তিওয়ারির লেখা একটি চিঠি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে লেখা ওই গোপন চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের ২০০০ কোটি টাকা থেকে রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য বঞ্চিত হয়েছে আসানসোলবাসী। এছাড়া কঠিক বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পের ১৫০০ কোটি টাকাও দিল্লি থেকে আসেনি রাজ্যের বাধায়।
পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলে জিতেন্দ্র তিওয়ারি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আসানসোলের প্রতি উন্নয়নে বৈষম্যের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আসানসোল থেকে রাজ্য সরকার কলকাতার পর সব থেকে বেশি রাজস্ব সংগ্রহ করে। অথচ সমস্ত বড় উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ পায় শুধুমাত্র কলকাতা ও বিধাননগর। আমরা বসে বসে দেখবো না কি?
বলে রাখি, চিঠির বয়ান প্রকাশ্যে আসার পর পশ্চিম বর্ধমানের ২টি কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।