আচমকাই বুকে ব্যথা। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে ছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বুধবার আচমকাই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে এরপর আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে শরীর পরীক্ষা করে দেখেন। এরপর তাঁকে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আপাতত তাঁকে সেখানেই রাখা হয়েছে।
জিতেন্দ্র তিওয়ারির ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কম্বল বিতরণকাণ্ডে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল জিতেন্দ্রকে। মঙ্গলবার জেলে যাওয়ার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, আমি প্রতিবার রামনবমীর মিছিলে উপস্থিত থাকি। কিন্তু সেটাও করতে দিল না। পয়লা বৈশাখেও উপস্থিত থাকতে পারব কি না জানি না। তবে আসানসোল অন্যায়ের কাছে মাথা ঝোঁকায় না।
তবে সূত্রের খবর, আগে থেকেই জিতেন্দ্রর কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাঁর বুকে ও পেটে কিছু সমস্যা রয়েছে। এদিকে জেলের অন্দরে তিনি জানান তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে। তারপরই তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্ত্রী তাঁকে দেখতে যান। কন্য়া পল্লবী তিওয়ারিও এদিন হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। তবে জিতেন্দ্রর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তার অনুগামীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়ায়।
তবে প্রাথমিকভাবে জেলের চিকিৎসকরাই তাঁকে পরীক্ষা করেছিলেন। এরপর তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন। এরপর দ্রুত তাঁকে সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর ঠিক কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। তবে সেটা মঞ্জুর করেনি আদালত। আবার পুলিশ হেফাজতের আবেদনও মানেনি আদালত। তবে শুনানির একেবারে শেষ পর্বে জিতেন্দ্র নিজেও বলতে ওঠেন। তিনি বলেছিলেন, একটি অনুষ্ঠানে দুর্ঘটনার কারণে তিনজন মারা গিয়েছেন। এদের মধ্য়ে দুজন এলাকার ও অপরজন অন্য এলাকার। বাইরের যিনি মারা গিয়েছেন তার পরিবারকে ভুল বুঝিয়ে মামলা করানো হয়েছে। যেখানে অনুষ্ঠান হয়েছে সেখানকার যে পরিবারের লোকজন মারা গিয়েছেন তাদের কেউ মামলা করেননি। কারণ তারা জানতেন এটা নিছক দুর্ঘটনার। এর সঙ্গেই জিতেন্দ্র উল্লেখ করেন একটু ভালো করে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হোক।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। এবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।