কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু সেটাও কি স্থায়ী নয়? আবারও কি পালটাতে চলেছে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান? জিতেন্দ্র তিওয়ারির একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ইংরেজিতে ফেসবুকে বুধবার জিতেন্দ্র লিখেছেন, 'রাজনীতিতে কোনও ফুলস্টপ (পূর্ণচ্ছেদ) নেই। তা একগুচ্ছ কমা, কোলেন এবং সেমিকোলন-সহ ইত্যাদির সমাহার।' তা হাসির ওয়ালপেপারের উপর লেখা হয়েছে। যা যথেষ্ট 'ইঙ্গিতবহ' বলে রাজনৈতিক মহলের মত। এখনও তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সেই পোস্ট রয়েছে।
সেই পোস্টের সময়ের কারণে জল্পনা আরও বেড়েছে। জিতেন্দ্রর সেই পোস্টের আগেই একাধিক বিজেপি নেতাকে শো-কজের মুখে পড়তে হয়েছে। সূত্রের খবর, সংবাদমাধ্যমের সামনে এবং প্রকাশ্যে জিতেন্দ্রকে নিয়ে ‘দলবিরোধী’ মন্তব্যের জেরেই সেই কড়া অবস্থানের মুখে হযেছে ওই বিজেপি নেতাদের। অর্থাৎ জিতেন্দ্রকে বিজেপিকে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কিন্তু দলবিরোধী মন্তব্য করে তাতে জল ঢেলে দিয়েছেন কয়েকজন বিজেপি নেতা। সেই শো-কজের মাধ্যমে কি বিজেপি থেকে কি কোনও ‘ইতিবাচক’ বার্তা পেয়েছেন জিতেন্দ্র? আর সেই কারণেই তিনি ইঙ্গিতবহ পোস্ট করেছেন?
সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন জিতেন্দ্র। পরে কলকাতায় অরূপ রায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর ‘ভুল' বুঝতে পেরেছিলেন। ততক্ষণে অবশ্য বিজেপির অন্দর থেকে বিরোধিতার জন্য জিতেন্দ্রর সামনে গেরুয়া শিবিরের সামনে দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। সরকারিভাবে জিতেন্দ্র এখনও তৃণমূলে যোগ দেননি আর। বিধানসভায় অবশ্য তিনি ইস্তফাপত্র দেননি। খাতায়কলমে এখনও তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাহলে সেখানেই যে তাঁর দল পরিবর্তনের ঘটনায় ‘ফুলস্টপ’ পড়েনি, তাই কি বোঝাতে চেয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক? আপাতত তা নিয়েই তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক জল্পনা।