মাদারিহাট উপনির্বাচনের আগে কি তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ জন বারলা? ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে সেই সম্ভাবনা। সোমবার সন্ধ্যায় বানারহাটে জন বারলার বাড়িতে দেখা যায় জেলার তৃণমূল নেতাদের। আর তাঁরা বাড়ি থেকে বেরোলেই নাম না করে স্থানীয় সাংসদ মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন জন বারলা।
লোকসভা ভোটে জন বারলাকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তার জায়গায় প্রার্থী করা হয় মনোজ টিগ্গাকে। বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করতে পারছিলেন না বারলা। তাঁর পারফম্যান্স রিপোর্ট অত্যান্ত খারাপ ছিল। তাই তৎপর রাজনৈতিক নেতা হিসাবে মনোজ টিগ্গাকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
আর টিকিট কাটা যাওয়ার পর থেকেই জন বারলা বেসুরো হয়ে ওঠেন। তিনি তৃণমূলের যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়। শেষ মেশ, শিলিগুড়িতে প্রধামমন্ত্রীর সভায় ডেকে তাঁকে শান্ত করে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তার পর ৬ মাস কাটতে না কাটতেই এসে পড়েছে উপনির্বাচন। মনোজ টিগ্গা সাংসদ হওয়ায় খালি হওয়া মাদারিহাট আসনে ভোটগ্রহণ ১৩ নভেম্বর। তার সপ্তাহখানেক আগে সোমবার সন্ধ্যায় জন বারলার বাড়িতে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক দীপেন প্রামাণিক ও মুখপাত্র দুলাল দেবনাথকে। ২ জনের বেশ কিছুক্ষণ একান্তে কথাও হয়।
দুলালবাবু বেরনোর সময় বলেন, ‘উনি একজন রাজনৈতিক কর্মী। তাই উপনির্বাচনের আগে একবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করে গেলাম।’ তবে কি তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন জন বারলা? জবাবে তিনি বলেন, ‘সময় বলবে’।
ওদিকে জন বারলা সাংবাদিকদের সামনে নাম না করে মনোজ টিগ্গাকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘এখানে আমার সঙ্গে কোনও পরামর্শ না করেই উনি একাই চলচেন। উনি একাই সিদ্ধান্ত নেন। উনি সবাইকে একজোট রাখতে পারল না। তাই আজ আমারই ভাই নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। এখন আমি মাঠের বাইরে বসে আছি। জেলায় ওয়ান ম্যান আর্মি হিসাবে চালালে কে চলতে পারবে? ওরা যদি আমাকে ছাড়া জিততে পারে ঠিক আছে। খুব ভালো। আমি থাকাকালীন ২০ শতাংশ করে বোনাস হয়েছে চা বাগানে। এবার কী করে বোনাস কম হয়ে গেল? এখন আমিই চেয়ারম্যান, আমিই জেলা সভাপতি, আমিই MP – MLA সব কিছু তুমি। বাকিরা কী করবে?’
তৃণমূল নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের পর মাদারিহাট উপ নির্বাচনের আগেই জন বারলা তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।