সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আজ এক অত্যন্ত ক্ষুরধার মস্তিষ্ককে হারাল সাংবাদিকতার দুনিয়া।’
মঙ্গলবার সকালে সকালে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন টিভি৯ বাংলার সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু। বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫। আছে চার বছরের মেয়েও। সেই স্বর্ণেন্দুর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে টুইটারে মমতা লেখেন, ‘কলকাতার তরুণ সাংবাদিক স্বর্ণেন্দু দাসের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। আজ এক অত্যন্ত ক্ষুরধার মস্তিষ্ককে হারাল সাংবাদিকতার দুনিয়া। তাঁর পরিবার, ভালোবাসার মানুষ এবং সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’
দাপুটে স্বর্ণেন্দু
হুগলির সিঙ্গুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্বর্ণেন্দু। পরিবারের আর্থিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল ছিল না। তা অবশ্য স্বর্ণেন্দুকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। পড়াশোনা শেষ করে ২০০৭ সাল থেকে কলকাতার মিডিয়ায় কাজ করতে শুরু করেছিলেন স্বর্ণেন্দু। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবরের জায়গায় গিয়ে স্বর্ণেন্দুকে দেখা যাবে না, এমনটা সচরাচর হত না। নিজের দক্ষতা, পরিশ্রমের কারণে সাফল্য অর্জন করতে থাকেন।
সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে স্বর্ণেন্দুর শরীরে বিরল ক্যানসার ধরা পড়েছিল। তাতে অবশ্য দমে যাননি। পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিকতার জগতে কাজপাগল হিসেবে পরিচিত স্বর্ণেন্দু দাপিয়ে কাজ করতে থাকেন। কখনও দিঘার উত্তাল সমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের খবর করেছেন, কখনও আবারও ‘স্পটে’ দাঁড়িয়ে লাইভ করেছেন। কিন্তু গত বছর নভেম্বর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বর্ণেন্দুকে। পরবর্তীতে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।