বর্ধমান সফরের শেষে শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে একের পর এক প্রশ্ন এড়ালেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। এমনকী রাজ্যের উন্নয়নে বিজেপির বিকল্প ভাবনা কী, তাও এদিন স্পষ্ট করেননি নড্ডা। মুখে আনেননি ‘রাজকুমার’-এর নামও। তবে এদিন বিজেপিকেই বাংলার সংস্কৃতির প্রকৃত প্রতিনিধি বলে দাবি করেন তিনি।
‘রাজকুমার’ বলতে আপনি কাকে বোঝাতে চেয়েছেন? সাংবাদিকের সরাসরি প্রশ্নের উত্তরে নড্ডা বলেন, ‘আমাকে দিয়ে কেন বলাতে চাইছেন? আমি যখন রাজকুমার বলি তখন উপস্থিত জনতাই তার নাম বলে দেয়। আমার আবার নাম বলার কি?’
বিজেপি ক্ষমতায় না এলে কি পশ্চিমবঙ্গে পিএম কিসান যোজনা চালু হবে না? এই প্রশ্নেরও সরাসরি কোনও উত্তর দেননি নড্ডা। তিনি বলেন, ‘চোর পালানোর পর বুদ্ধি বেড়েছে মমতার। বিজেপি ক্ষমতায় এসে কৃষকদের PM কিসান প্রকল্পের সুবিধা দেবে বলে শপথ নিয়েছে।’
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষের বৈঠক নিয়ে নড্ডার মত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপাল কী আলোচনা করেছেন তা গোপন ব্যাপার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে রাজ্যপালের।’ কিন্তু বিএল সন্তোষের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি।
রাজ্যের উন্নয়নে বিজেপির বিকল্প ভাবনা কী? শিল্পায়নের জন্য তারা কী ভাবছে? এই প্রশ্নের উত্তরে নড্ডা বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে সব জানাবো। ভোট যত এগিয়ে আসবে তত আমরা এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরবো।’
তবে রাজ্যপাল দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রকৃত ধারক ও বাহক বিজেপি। বিজেপিই জানে প্রশাসন কীভাবে চালাতে হয়। সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতা ও দুর্নীতির প্রতিনিধিত্ব করেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, তিনিও ব্যক্তিগত জীবনে বাংলার সংস্কৃতির চর্চা করেন। টোপর পরে বাঙালি মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।