১৮ ঘণ্টা পর ধর্না তুলে নিলেন উপাচার্য-সহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শিক্ষক, অশিক্ষক-সহ যাদবপুরের অন্যান্য কর্মীরা উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছে অনুরোধ করেন ধর্না তুলে নেওয়ার জন্য। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিট নাগাদ ধর্না তুলে নেন তাঁরা।
১১ অক্টোবর কর্মসমিতির (ইসি) বৈঠক চলাকালীন ছাত্রছাত্রীরা একনাগাড়ে স্লোগান দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। ফলে বৈঠক বন্ধ করে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেন উপাচার্য। বুধবার রাতে ধর্নায় বসেন সহকারী উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ডিন অফ সাইন্স এবং আরও বেশ কয়েক জন ডিন।
বুদ্ধদেব সাউয়ের দাবি, ইসি চলাকালীন টানা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা ধরে তাঁদের ছাত্র নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এই ধর্নায় বসেন তাঁরা। সারারাত তাঁরা ধর্না দেন। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের গাড়ি বারান্দায় সামনে ধর্নায় বসেন।
(পড়তে পারেন। সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হতেই অনির্দিষ্টকালের ছুটি নিলেন যোগেশ চন্দ্রের অধ্যক্ষ)
ধর্নায় বসা শিক্ষকদের অভিযোগ, পড়ুয়াদের একাংশ ইসি-র মিটিং বানচাল করে দিচ্ছে। ফলে, র্যাগিংয়ে অভিযুক্তদের নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তও নেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে তাঁদের এই ‘সত্যাগ্রহ’।
উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘আমরা পড়ুয়াদের উপর গায়ের জোর দেখাতে পারি না। সেই কারণে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছি। আশা করি পড়ুয়ারা শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন।’ রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'রাত তিনটে থেকে বসে রয়েছি। আমাদের কাছে মূলত হস্টেলের ছাত্ররাই এসেছিল। তাঁদের দাবি, সব কমিটিতে তাঁদের প্রতিনিধি রাখতে হবে। সব কমিটিতে পড়ুয়াদের প্রতিনিধি রাখা সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবারও ধর্না চালিয়ে যান তাঁরা। এর পর শিক্ষক, অশিক্ষক-সহ যাদবপুরের অন্যান্য কর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের কাছে অনুরোধ করে ধর্না তুলে নেওয়ার জন্য।
পরে উপাচার্য বলেন, ‘অফিসার,স্টাফদের অনুরোধে আমরা ধর্না তুলে নিচ্ছি। তাঁরা আমাদের অনুরোধ করেছেন। ওনারা দায়িত্ব নিয়েছেন ছাত্রদের বোঝানোর। আমরা তাঁদের মতকে সম্মান জানিয়ে ধর্না তুলে নিচ্ছি।’ কেন ধর্না, সে প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন,'চেয়ারে বসে সম্মান পাচ্ছিলাম না তাই ধর্না বসেছিলাম।'