স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি এবং নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এই মৃত্যুর ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে আগেই ১২ জন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে শনিবার থেকে আংশিক কর্মবিরতি শুরু করেন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, চিকিৎসকদের কোনও গাফিলতি ছিল না। স্যালাইন কোম্পানিকেই এই ঘটনার জন্য তাঁরা দায়ি করেছেন। এদিকে, এদিন হাসপাতালে আসে জাতীয় মহিলা কমিশন। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কমিশনের সদস্যদের বৈঠক চলাকালীন মেডিক্যাল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষ এবং সিএমওএইচকে ঘেরাও করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন: দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করলে বাঁচানো যেত, স্যালাইনকাণ্ডে চিকিৎসকদের দায়ী মমতার
প্রসূতি ও সদ্যোজাতর মৃত্যুর ঘটনায় এদিন দুপুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা এসে পৌঁছন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। তাঁরা এদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেইসময় জুনিয়র ডাক্তাররা জোর করে ভিতরে ঢুকে পড়েন এবং মেডিক্যাল কলেজের সুপার, অধ্যক্ষদের ঘেরাও করেন।
যদিও মহিলা কমিশনের সদস্যদের ঘেরাও করা হয়নি বলেই জানান জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। এদিকে, জুনিয়রদের বিক্ষোভ দেখে বাইরে বেরিয়ে আসেন হাসপাতালের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার ডাঃ ইন্দ্রনীল সেন। তিনি বেরিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানান, সবেমাত্র ২৪ ঘণ্টা হয়েছে। তিনি এবিষয়টি দেখবেন। তারপরেও ঘেরাও অব্যাহত রাখেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যদিও জুনিয়ররা জানিয়ে দেন, মহিলা কমিশনের সদস্যদের প্রতি তাদের কোনও ক্ষোভ নেই। তিনি চাইলেই বাইরে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, 'বিষাক্ত' স্যালাইনকাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল এক প্রসূতি এবং এক নবজাতকের। সেই ঘটনায় চিকিৎসকদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনায় চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আরএমও এবং এমএসভিপি।
মমতা বলেছিলেন, চিকিৎসকরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করলে প্রসূতিকে বাঁচানো যেত। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতি হয়েছে। তারই প্রতিবাদে এদিন আংশিক কর্মবিরতি করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমার্জেন্সি ও আউটডোর পরিষেবা চালু রেখেছেন তাঁরা। বৈঠক চলাকালীন জুনিয়ররা নিজেদের দাবি জানাতে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, কেউ তাদের কথা শুনতে চাইছে না।