তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। আর তার পরেই করোনার সঙ্গে লড়তে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই লোকাল ট্রেনের পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওদিকে বাড়োনো হচ্ছে হাসপাতালে বেডের সংখ্যাও। সেফ হোম বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে রাজ্য। এবার সংক্রমণ রুখতে আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল সরকার। নবান্ন থেকে রাজ্যের চটকলগুলোর জন্যও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
চটকলের জন্য জারি করা নির্দেশিকায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এবার থেকে মাত্র ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়েই কারখানার কাজ চালাতে হবে মালিকপক্ষকে। অর্থাৎ, কারখানায় একসঙ্গে মোট কর্মীর ৩০ শতাংশই উপস্থিত থাকতে পারবেন। প্রত্যেক কর্মীকেই মাস্ক পরার পাশাপাশি শারীরিক দূরত্ব বিধি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত নিয়মবিধি পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা এই ভোট পর্বের মধ্যেই কয়েক হাজার চটকল শ্রমিকের মুখের হাসি উধাও হয়ে গিয়েছে। নয়-নয় করে আধ ডজন চটকল এই ভোট পর্বেই আচমকা কারখানায় তালা ঝুলে গিয়েছে। মূলত কাঁচা পাটের অভাব এবং তার ফলে শুরু হওয়া কালোবাজারির জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্ধ চটকলের মালিকরা। ভোট গণনার পর কাঁচা পাটের অভাব দূর না হলে রাজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ তথা ২০টির মতো চটকল বন্ধ হতে পারে বলে মালিকপক্ষের সংগঠন আই জেএমএ’র কর্মকর্তারা রাজ্য সরকারকে বার্তা দিয়েছিলেন। সংকট দূর করতে চটকল শ্রমিকদের ২১টি সংগঠন যৌথভাবে চিঠি দিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছিল।