খড়দহের বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা 'ক্রিমিনাল, সমাজবিরোধী'। খড়দহ বিধানসভা উপনির্বাচনে 'আক্রান্ত' আর্যদীপ সিনহাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শনিবার তাঁর অভিযোগ, 'গত বিধানসভা নির্বাচনে পানিহাটিতে নির্মল ঘোষ যখন প্রার্থী হয়েছিলেন, তখন তাঁর বাড়ির সামনে বোমা মেরেছিলেন কে? এই জয় সাহা। মনে রাখবেন বিজেপিকে এর খেসারত দিতে হবে।'
এদিন সন্ধ্যায় প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক কাজল সিনহার নাবালক ছেলে আর্যদীপকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দেখতে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও। আক্রান্ত আর্যদীপকে দেখে এসে রাজ্যের মন্ত্রী জানান, ‘কাজল আমাদের খুব প্রিয় নেতা ছিলেন। মারা গিয়েছেন। তাঁর ছেলে আর্যদীপ সিনহা আক্রান্ত হলেন। তাঁর স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে মারতে গিয়েছিলেন। কত বড় স্পর্ধা?’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা মনে করলে একটা মিনিট লাগবে। আঙুল ঘোরালেই কাজ কমপ্লিট। কিন্তু আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। তাই শান্তির বাতাবরণ বজায় থাকবে।’ এদিন জ্যোতিপ্রিয় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 'আর্যদীপকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, প্রাইভেট সিকিউরিটি দিয়ে মারা হয়েছে।’
ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, ‘বিজেপির অনেক লোকই আছে, পাশবিক। তাই এই পাশবিক কাজ করেছেন।’ একইসঙ্গে সৌগত জানান, ‘কাজল সিনহার ছেলে-সহ জন, রাহুল, দীপ বলে আরও কয়েকজন ছিলেন। ওদের হঠাৎ চ্যালেঞ্জ করে জয় সাহা। বলেন ওঁরা বাংলাদেশি। ফলস ভোট দিচ্ছেন। ওঁরা প্রতিবাদ করেন। তখন জয় সাহা ও তাঁর প্রাইভেট সিকিউরিটি গার্ড এদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রাইভেট সিকিউরিটি তাঁর ফাইবার গ্লাসের লাঠি দিয়ে মারে। সকলেই আহত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন কাজল সিনহার ছেলে। আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। জয় সাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’