শিক্ষার পর এক খাদ্য দফতরে নিয়োগের জন্য মন্ত্রীর নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, টাকা দিয়েও মেলেনি চাকরি। ফেরত পাওয়া যানি টাকাও। এই অভিযোগ, হাবরার বাসিন্দা গোপাল দাসের। অভিযোগ, মেয়ের চাকরির জন্য ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তিনি।
গোপালবাবু জানান, ২০১৮ সালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তখন খাদ্যমন্ত্রী, অমিত সাহা নামে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ স্থানীয় এক তৃণমূলকর্মী আমাকে বলেন খাদ্য দফতরে এসআইয়ে মেয়ের চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে। সেজন্য কিছু টাকা দিতে হবে। প্রাথমিকভাবে আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা চায় সে। এর পর ধাপে ধাপে মোট ৮ লক্ষ টাকা আমি তাকে দিয়েছি। মেয়ের সোনা - গয়না সব বিক্রি করে নিঃস্ব হয়ে টাকা দিয়েছি তাকে। কিন্তু মেধাতালিকা বেরোলে দেখি চাকরি হয়নি। তখন বুঝতে পারি প্রতারিত হয়েছি।
এর পর অমিত সাহা ওরফে ফেলা নামে ওই তৃণমূলকর্মীর কাছে টাকা ফেরত চাই। কিন্তু সে গা করেনি। ফলে হাবরা থানায় অভিযোগ জানাই। সেখানে জানতে পারি আরও বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে একই ভাবে টাকা নিয়েছে ওই ব্যক্তি।
অভিযোগ পেয়ে একদিন সবাইকে থানায় ডাকেন আইসি। সেখানে লিখিত সিদ্ধান্ত হয় ৪ মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেবে সে। কিন্তু টাকা এখনো ফেরত পাইনি।
শ্রেয়া বলেন, ‘ফর্ম ফিল আপ, পরীক্ষা সব হয়েছে। টাকাও দিয়েছি কিন্তু চাকরি পাইনি।’ গোটা ঘটনায় বিধ্বস্ত পরিবার। অবিলম্বে টাকা ফেরত পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন গোপালবাবু।