তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের জেলমুক্তির পর মাস ঘুরতে না ঘুরতে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখের নিরাপত্তা বাড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার থেকে ওয়াই শ্রেণির নিরাপত্তা পাবেন বীরভূম জেলাপরিষদের সভাধিপতি। জেলমুক্তির পর বৃহস্পতিবার প্রথম সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে নামেন অনুব্রত। আর তার পরদিনই কাজল শেখের নিরাপত্তা বাড়ানোর খবর এল। যাতে বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলই যে তৃণমূলের সব থেকে বড় শত্রু তা বলে দিল তাদেরই প্রশাসনের সিদ্ধান্ত।
আড়াই বছর জেলবন্দি থানার পর পুজোর মুখে মুক্তি পেয়েছেন অনুব্রত। তার পর থেকেই তাঁর সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের সলতে পাকানো চলছিল। উৎসব মিটতেই আর দেরি করেননি তিনি। লক্ষ্মীপুজোর পরদিনই জেলা যোগদান করেন বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে। অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত কাজল শেখ। বৃহস্পতিবারের সভায় যদিও হাজির ছিলেন না তিনি। তবে সভা থেকে কাজলকে খোঁজ করতে দেখা যায় অনুব্রতকে। এমনকী সভায় দলীয় কর্মীদের বিভেদ ভুলে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দেন তিনি। তবে কি জেলমুক্তির পর অনুব্রত ধার কমে গিয়েছে? নইলে বিরোধীরা তো বটেই, যার মুখে দলের অন্য গোষ্ঠীদের নেতাদের জন্য নিয়মিত আগুন বর্ষিত হয় তিনি সংঘতির বার্তা দিলেন কেন? এই প্রশ্ন নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিল তখনই বাড়ল কাজল শেখের নিরাপত্তা।
বিরোধীদের কটাক্ষ, তৃণমূল যে দুষ্কৃতীদের দল তা তাদের সরকারই প্রমাণ করে দিল। এক নেতা জেল থেকে বেরোলে আরেক নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দিতে হয়। শাসকদলের নেতার হাতে যদি তাদেরই আরেক নেতার জীবন বিপন্ন হয় তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা একবার ভাবুন। এ তো অরাজকতার চূড়ান্ত।