নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের সাহেবঘাটা। স্থানীয়রা এদিন নিহত নাবালিকার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এর পরই পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে র্যাফ। শুক্রবারের ছবি ফেরে শনিবারও। অবশেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
শনিবার নিহত কিশোরীর বাড়িতে যাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, তখন তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে পাশের গ্রামের একাধিক যুবক জড়িত। পুলিশ তাদের না ধরে নিহত কিশোরীর পরিবার ও তাঁদের পাশে থাকা গ্রামবাসীদের বাধা দিচ্ছে। এর পরই উত্তেজিত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালান তাঁরা। একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝে ময়দানে নামে র্যাফ। লাঠি চালিয়ে ও স্টান্ট গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে তারা।ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বেশ কিছুক্ষণ পর উত্তেজনা ক্রমশ থিতিয়ে পড়ে। ফের এলাকার দখল নেয় পুলিশ।
এদিন ঘটনাস্থলে যান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, স্থানীয় সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। নিহত কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। নাবালিকার দেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এর পর অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে রায়গঞ্জে জেলা শাসকের দফতরের সামনে ধরনায় বসেন সুকান্তবাবু।
তিনি বলেন, গত কয়েকমাসে দুই দিনাজপুরে একের পর এক নাবালিকার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে চলেছে। আর পুলিশের কাজ হল ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া। এবার নাবালিকার দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ময়নাতদন্তের আগেই বলে দিল এটা প্রেমঘটিত আত্মহত্যার ঘটনা। নাবালিকা বিষ খেয়েছে। ময়নাতদন্তের আগে পুলিশ কী করে জানল যে নাবালিকা বিষ খেয়েছে?