পুজোয় অনেকে কলকাতা ছেড়ে বেরোতেই চান না। পাড়ার পুজো বলে কথা। অনেকের আবার পুজো এলেই পায়ে সর্ষে। না বেড়াতে পারলে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু যাবেন কোথায়? প্যাকেজ ট্যুরের সেই ধরাবাঁধা গন্ডীর মধ্যে যেতে চান না অনেকেই। সেক্ষেত্রে তাদেরকে নিজে থেকেই বেড়ানোর পরিকল্পনা করতে হয়।
কিন্তু ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং তো অনেক হলো। এবার পুজোয় একটু নির্জনতা খুঁজছেন? দশটা পাঁচটার অফিস, ভিড় বাস, ঘামে ভেজা জামা এসব থেকে একটু মুক্তি খুঁজছেন? সব মিলিয়ে নিভৃতে নির্জনতায় দুটো দিন কাটাতে চান? তবে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা হতে পারে বিদ্যাং ভ্যালি। কালিম্পং এর বিদ্যাং ভ্যালি।
কালিম্পং থেকে বিদ্যাং ভ্যালির দূরত্ব প্রায় ১৭ কিলোমিটার। এনজেপি থেকে বিদ্যাং ভ্যালি প্রায় ৮৮ কিলোমিটার। শেয়ার গাড়ি পাওয়া কিছুটা কঠিন। সেক্ষেত্রে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন। এতে অবশ্য খরচ একটু বেশি পড়বে। যারা মংপুতে থাকার জায়গা পান না বলে আফসোস করেন তারা বিদ্যাং ভ্যালি আসতেই পারেন। নিরাশ হবেন না।
ঝুলন্ত ব্রিজ, রেলি নদী আর প্রজাপতি এই তিন যেন মিলেমিশে একাকার। রেলি নদীর ধারেই একাধিক হোমস্টে আছে। সেখানে থাকতে পারেন। তবে আগে থেকে বুকিং করে আসাটাই ভালো। পুজোর সময় চাহিদা আরও বাড়বে। আগে থেকে বুকিং না থাকলে সমস্যায় পড়ে যাবেন।
বর্ষার পরে আরো সুন্দর হয়ে ওঠে রেলি নদী। বর্ষার পরপরই এখানে জল কিছুটা বাড়ে। পাথরে ধাক্কা খেয়ে ছুটে চলে পাহাড়ি নদী। ওপর দিয়ে কাঠের ঝুলন্ত ব্রিজ। প্রিয়জনের হাত ধরে এই ব্রিজের উপর দাঁড়ান। চারপাশে কেউ কোথাও নেই। জীবনের এই মুহূর্তটা সারা জীবনের জন্য তোলা থাকবে স্মৃতির মনিকোঠায়। রেলি নদী থেকে কাছেই একটা ছোট ঝর্ণা আছে। জঙ্গলের মধ্যে কিছুটা উঁচু থেকে লাফিয়ে নামছে এই পাহাড়ি ঝর্ণা। বর্ষার পরে আরো সুন্দর হয়ে ওঠে এই ঝর্ণা। পারলে একবার দেখে আসতে পারেন।