মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে ফের একবার প্রশ্ন উঠল বিরোধীদের নিরাপত্তা নিয়ে। এবার আক্রান্ত হলেন বিজেপি নেতা কল্যাণ চৌবে। পারিবারিক সফরে পূর্ব বর্ধমানে যাওয়ার সময় মশাগ্রাম রেলগেটে আক্রান্ত হয় তাঁর গাড়ি। কল্যাণবাবুর দাবি, হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। হামলা হয়েছে কল্যাণ চৌবের স্ত্রী ও কন্যা যে গাড়িতে ছিল সেটিতেও।
টুইটে কল্যাণবাবু জানিয়েছেন, ‘আবার আমার ওপর হামলা হল। এবার বর্ধমানে। দোলে রাধা - গোবিন্দের পুজোয় সোহিনীর (স্ত্রী) দেশের বাড়ি আসি। মশাগ্রাম লেভেল ক্রসিংয়ে গাড়ি ৪ – ৫ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িতে বিজেপির পতাকা দেখে হামলা চালায় কিছু তৃণমূল দুষ্কৃতী। ২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হল।’
জামালপুরের রাজারামপুরে কল্যাণবাবুর স্ত্রী সোহিনীদেবীর পৈত্রিক বাড়ি। সেখানে দোল উৎসবে যোগ দিতে সপরিবারে যাচ্ছিলেন বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতি। কল্যাণবাবুর সঙ্গে অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন সোহিনীদেবী। ও তাঁদের ১২ বছরের কন্যা। কল্যাণবাবু জানিয়েছেন, মশাগ্রাম লেভেল ক্রসিংয়ে গাড়ি দাঁড়াতেই সামনে বিজেপির পতাকা দেখে হামলা চালায় কয়েকজন তৃণমূলি দুষ্কৃতী। গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে তারা। তাতে ২টি গাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে কল্যাণবাবুর মেয়ে। এর পর জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কল্যাণবাবু।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রায় রোজ বিরোধীদের ওপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী নদিয়ার মাখড়া গ্রামে বিরোধী দলের সমর্থকদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করানোর হুমকি দিয়েছিলেন প্রয়াত সাংসদ তাপস পাল। তার পরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেনি তৃণমূল। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিরোধীদের ওপর হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বা কর্মীর দলের প্রোমোশন হয়েছে। যার ফলে আরও বেড়েছে তাদের উৎসাহ।