করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কামতাপুরি প্রোগ্রেসিভ পার্টির (কেপিপি) সুপ্রিমো অতুল রায়ের। তাঁর প্রয়াণের খবরে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পরিবারের অভিযোগ, রাজ্য সরকার আরও কিছুটা উদ্যোগ নিলে কামতাপুরি ভাষা অ্যাকাডেমির সহ-চেয়ারম্যানকে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হত।
দীর্ঘদিন ধরেই শিলিগুড়ির একটি হাসপাতাবে ভরতি ছিলেন অতুল। গত ২২ মে থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শেষপর্যন্ত বুধবার ওই হাসপাতালে মৃত্যু ৬২ বছরের নেতার। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ি টুইটারে তিনি লেখেন, 'অতুল রায়ের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। যিনি কামতাপুরি ভাষা অ্যাকাডেমির সহ-চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের সমবেদনা জানাচ্ছি। উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য তাঁর একনিষ্ঠ এবং লাগাতার লড়াই সর্বদা আমাদের স্মরণে থাকবে।'
পৃথক কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তার মধ্য দিয়েই উঠে আসেন অতুল। একটা সময় কামতাপুর পিপলস পার্টির সঙ্গে ছিলেন। পরবর্তী সময় নানা নীতির ভিত্তিতে একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে কামতাপুরীদের সংগঠন। কেউ কেউ কামতাপুর পিপলস পার্টির ছত্রচ্ছায়ায় থেকে গেলেও বেরিয়ে আসেন অতুল। গঠন করেন কামতাপুরি প্রোগ্রেসিভ পার্টি। বামফ্রন্ট সরকারের তীব্র বিরোধী ছিলেন অতুল। পরবর্তীকালে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, একাধিক নির্বাচনে রাজবংশী ভোট ব্যাঙ্ককে এককাট্টা করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁর সহযোগিতা নিয়েছে। এবারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে সহযোগিতা করেছিল কেপিপি। যদিও অভিযোগ, অতুল অসুস্থ থাকার সময় সেভাবে রাজ্য সরকারের তরফে সহযোগিতা মেলেনি। তাঁর চিকিৎসায় বিপুল খরচের জন্য কেপিপির তরফে রাজ্য সরকারকে চিঠি লেখা হয়েছিল।