হাঁটতে হাঁটতে, কখনও আবার বাড়ির ছাদে কিংবা জানালা দিয়ে উঁকি দিলেই দেখা মিলছে বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার! সোমবার সকাল হতেই এভাবেই কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখতে পাওয়া গেল জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি থেকে। গত বেশকয়েকদিন ধরেই ধুপগুড়ির আকাশ ঝলমলে, মেঘের ছিঁটেফোঁটা নেই। তাই সেখান থেকে চোখ মেললেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে সেই নৈসর্গিক দৃশ্য! আর সেই দৃশ্য উপভোগ করতে দেখা গেল জলপাইগুড়ির বাসিন্দা এবং পর্যটকদের।
যদিও ধুপগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়ার দৃশ্য বিরল নয়। অতীতে বহুবারই ধুপগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখা গিয়েছে। সাধারণত আকাশ পরিষ্কার থাকলে অক্টোবরের মাসের শেষের দিকে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখা যায়। তার মধ্যে রয়েছে জলপাইগুড়ির ধুপগুড়ি। সোমবার সকালে আকাশ পরিষ্কার থাকায় সেখান কাঞ্চনজঙ্ঘাকে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। সাধারণত বছরের এই সময় অনেক পর্যটক জলপাইগুড়ি ঘুরতে যান। সেখানে এরকম মনোরম দৃশ্য দেখে অবশ্য ক্যামেরা বন্দি করতে ছাড়েননি পর্যটকরা। কখনও নদীর ধারে দাঁড়িয়ে আবার কখনও ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি ক্যামেরাবন্দি করেন পর্যটকরা।
এর আগে বহুবার ধুপগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখা গিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট ভাবে দেখা গিয়েছিল লকডাউন পর্বে। গত দু'বছর করোনা অতিমারীর কারণে ধাপে ধাপে লকডাউন ছিল। সেই সময় দূষণ কমে যাওয়ায় স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘাকে। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ দেখতে এদিন ভিড় জমে ধুপগুড়ির তিন নম্বর ব্রিজ এলাকায়। ঠাকুরপাট এলাকাতেও প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। পর্যটকদের কথায় এতদিন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দার্জিলিং যেতে হতো। এখন ধুপগুড়ি থেকেই দেখা যাচ্ছে।