বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Gangasagar: ‘‌যা করার মুখ্যমন্ত্রীই করছেন, কেন্দ্র নয়’‌, মমতার সফরের আগে বিস্ফোরক মোহন্ত

Gangasagar: ‘‌যা করার মুখ্যমন্ত্রীই করছেন, কেন্দ্র নয়’‌, মমতার সফরের আগে বিস্ফোরক মোহন্ত

কপিলমুনির আশ্রম

মন্দির, মেলা প্রাঙ্গণ আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে। একাধিক তোরণ গড়ে তোলা হয়েছে। হোগলা পাতার ছাউনির অস্থায়ী তাঁবু তৈরির কাজ চলছে। অগ্নিনির্বাপক রাসায়নিকে ভেজানো হচ্ছে হোগলা পাতা। মেলা প্লাস্টিক–মুক্ত রাখতে প্রচারের পাশাপাশি নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করা শুরু হয়েছে।

আজ, বুধবার গঙ্গাসাগর সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকে তিনি ফিরবেন ৬ জানুয়ারি। গোটা দেশের মানুষ পুণ্য অর্জনের আশায় আসেন গঙ্গাসাগরে। মকর সংক্রান্তিতে কপিলমুনির আশ্রম দর্শনে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়। অথচ এই তীর্থক্ষেত্রের জন্য কেন্দ্রের সরকার কিছুই করেনি। বরং যা কিছু উন্নতি, তা সম্ভব হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে এই ভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তুমুল সমালোচনা এবং রাজ্য সরকারের অকুণ্ঠ প্রশংসা করলেন কপিলমুনি মন্দিরের মোহন্ত সঞ্জয় দাস।

ঠিক কী বলেছেন মোহন্ত?‌ উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার হনুমানগড়ি আশ্রমের প্রধান মোহন্ত জ্ঞানদাস মহারাজ কপিলমুনির মন্দির পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। তাঁর উত্তরাধিকারী হলেন সঞ্জয় দাস। এখানে উন্নয়ন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘আগে গঙ্গাসাগর কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে, সেটা তো দেখতেই পাচ্ছেন।’ এখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে জ্ঞানদাস মহারাজ বাইরে বের হন না। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় এবারই প্রথম মেলার তিনদিন গঙ্গা আরতি হবে। ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই আয়োজনের সূচনা করবেন মোহন্ত জ্ঞানদাস। তিনি বলেন, ‘‌কপিলমুনির মন্দির ও সংলগ্ন চত্বর সাজিয়ে তোলার ক্ষেত্রে বড় অবদান রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। কেন্দ্রের নয়। রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যে চারটি ঘর তৈরি হয়েছে। যার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সমুদ্রের গ্রাস থেকে মন্দির রক্ষা করার জন্য যা করার, তা মুখ্যমন্ত্রীই করছেন।’‌ কপিলমুনির মন্দির থেকে কয়েকশো মিটার হেঁটে গেলেই সমুদ্রতট। সেখানে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ গঙ্গাসাগর মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হতে এখনও তিন–চারদিন বাকি আছে। কিন্তু সেজে উঠেছে মেলা চত্বর থেকে রাস্তাঘাট। মন্দির, মেলা প্রাঙ্গণ আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে। একাধিক তোরণ গড়ে তোলা হয়েছে। হোগলা পাতার ছাউনির অস্থায়ী তাঁবু তৈরির কাজ চলছে। অগ্নিনির্বাপক রাসায়নিকে ভেজানো হচ্ছে হোগলা পাতা। মেলা প্লাস্টিক–মুক্ত রাখতে প্রচারের পাশাপাশি নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বাজেয়াপ্ত করা শুরু হয়েছে।

এখন কী অবস্থা হয়েছে?‌ এখানে কপিলমুনির মন্দির ও আশ্রম সংলগ্ন ডেরায় নাগা সাধুদের আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। আসতে শুরু করেছেন ভিন রাজ্য ও বাংলার বিভিন্ন জায়গার তীর্থযাত্রীরা। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী থেকে ৬০ জন তীর্থযাত্রীর একটি দল এসেছে। সেই দলের সদস্য পুষণ পারমা আয়োজন দেখে বলেন, ‘‌প্রবীণদের থেকে শুনেছিলাম গঙ্গাসাগরে আসা, থাকা, ফিরে যাওয়া খুব কষ্টের। এমন সুন্দর ব্যবস্থা থাকবে, ভাবতেও পারিনি।’‌

বন্ধ করুন