একেবারে কলকাতা শহরের বুকে জলাশয় থেকে ভেসে উঠল বিহারের যুবকের দেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ ভিন রাজ্যের যুবকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে এখন নানা জটিল প্রশ্ন দেখা দিতে শুরু করেছে। এই যুবক এখানে কেন এসেছিল? এটা কি আত্মহত্যা নাকি খুন? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কসবার শপিং মলের পিছনের জলাশয়ে ভেসে আজ শনিবার ভেসে ওঠে ভিন রাজ্যের যুবকের দেহ। এই নিয়ে এখন তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আশেপাশের লোকজনকে গোটা বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেছে পুলিশ।
ভিন রাজ্যের যুবকের দেহের ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বিহার পুলিশের কাছে। আর কসবার যে জলাশয় থেকে বিহারের যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার পুলিশ। ওই যুবকের দেহ জলাশয়ে কী করে এল? কোনও অঘটন না ঘটলে ওই জলাশয়ে কারও দেহ ভেসে ওঠা সম্ভব নয় বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। খুন করে দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। জলে ডুবেই যে মৃত্যু সেটা একপ্রকার নিশ্চিত হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না এলে পুলিশ কিছু বলতে চাইছে না। তবে সবটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: চার বছরের শিশুকে ট্রলিব্যাগে বন্দি করার অভিযোগ, পাঁচজনকে গ্ৰেফতার করল নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই যুবক বিহারের বাসিন্দা। বিহার থেকে ওই যুবক কসবায় নিজের আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিলেন। গতকাল রাত থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎই গায়েব হয়ে গিয়েছিল। তবে শুক্রবার বেশি রাতে ওই যুবককে শপিং মলের পিছনে থাকা জলাশয়ের ধারে বসে থাকতে দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তারপর থেকে বিহার যুবককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাঁর খোঁজখবর করা হচ্ছিল। আজ, শনিবার সকালে ওই জলাশয় থেকে ভিন রাজ্যের যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছে যায় লালবাজারের গোয়েন্দারা। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই যুবক মদ্যপান করে ওই জলাশয়ের কাছে গিয়ে বসেছিল। সেখানে নেশার ঘোরে চোখ বন্ধ হয়ে আসতেই জলাশয়ে পড়ে যান বিহারের ওই যুবক। তারপর ওঠার ক্ষমতা না থাকায় তলিয়ে গিয়েছে ওই যুবক। তবে পুলিশ এখনই এই তথ্য মানতে নারাজ। ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় পুকুরে তলিয়ে যান এটা পরিস্থিতির সঙ্গে খুব একটা মানানসই হচ্ছে না। তাই ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।