স্কুলের ঘণ্টা বাজানোর হাতুড়ি দিয়ে মেরে দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অপর এক পড়ুয়াকেও মেরে হাতে জখম করার অভিযোগও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার শ্রীখণ্ড প্রাথমিক বালক বিদ্যালয়ের ঘটনা। শিক্ষকের মারে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই দুই পড়ুয়া। আপাতত তারা বাড়িতেই রয়েছে। ঠিক কী অভিযোগ ওই শিক্ষক শেখ ইসরাইলের বিরুদ্ধে?
অভিবাবকদের অভিযোগ কোমরের বেল্ট খুলে পড়ুয়াদের মারধর করেন ওই শিক্ষক। ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে স্কুলের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় অভিভাবকরা।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্যার প্রচন্ড মারে। মেরে ফাটিয়ে দেয়। স্যার লাঠি দিয়ে মারলেন। আমার বন্ধুর মাথা দিয়ে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে গেল।
অভিভাবকদের দাবি, কোমরের বেল্ট খুলে বাচ্চাদের মারে। লাঠি দিয়ে মারে। বাচ্চাদের মাথায় মারা কি মাষ্টারমশাইয়ের ঠিক?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক পুলক মণ্ডল জানিয়েছেন, ওনার এটা করাটা ঠিক হয়নি। হয়তো ছড়ি দিয়ে মেরেছেন। একটা বাচ্চার মাথায় কেটে গিয়েছে। এভাবে মারধর করাটা আমাদের নিয়মে নেই। কেউ খুব দুরন্ত হলে আমরা অভিভাবকদের বলি। কেন তিনি মারলেন বুঝতে পারছি না। তিনি ভুল করে ফেলেছেন। গ্রামবাসীদের বোঝানো হয়েছে। ওই শিক্ষক স্কুলে এসেছিলেন। প্রশাসন থেকে তাকে ডাকা হয়েছে।